পেন্টাগনের ১ হাজার কোটি ডলারের (১০ বিলিয়ন ডলার) ক্লাউড কম্পিউটিং চুক্তি নিয়ে প্রযুক্তি জায়ান্টগুলোর মিশ্র প্রতিক্রিয়া ছিল। কর্মীদের বিরোধিতার মুখে গুগল বিতর্কিত এ চুক্তি থেকে আগেই সরে দাঁড়ায়। শেষ পর্যন্ত পেন্টাগনের সঙ্গে ক্লাউড কম্পিউটিং চুক্তিতে পৌঁছাতে চেয়েছিল অ্যামাজন। কিন্তু ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তি খাতে নেতৃত্বে থাকা অ্যামাজনকে হটিয়ে চুক্তিটি জিতেছে মাইক্রোসফট। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহে পেন্টাগন ও মাইক্রোসফটের ক্লাউড চুক্তিটিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে অ্যামাজন।
গত শুক্রবার মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর পেন্টাগনের পক্ষ থেকে ক্লাউড প্রযুক্তি সরবরাহকারী হিসেবে মাইক্রোসফট করপোরেশনের নাম ঘোষণা করা হয়। চুক্তি থেকে অ্যামাজনকে বাদ দেয়ার বিষয়টি পেন্টাগনের জন্যও চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেফ বেজোসের পারস্পরিক কাটকাট সম্পর্কের কারণে পেন্টাগনের ক্লাউড চুক্তি থেকে বাদ পড়েছে অ্যামাজন।
পেন্টাগনের ক্লাউড কম্পিউটিং চুক্তি নিয়ে প্রযুক্তি জায়ান্টগুলোর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছিল। চুক্তিটিতে অ্যামাজনের আগ্রহ নিয়ে অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ ছিল। বিষয়টি ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তবে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি খাতে এগিয়ে থাকায় অ্যামাজনের ঝুলিতে চুক্তিটি যাবে বলে মনে করা হচ্ছিল।
গত জুলাইয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, পেন্টাগনের সঙ্গে অ্যামাজনের ক্লাউড কম্পিউটিং চুক্তির বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।
‘জয়েন্ট এন্টারপ্রাইজ ডিফেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার ক্লাউড (জেইডিআই)’ চুক্তিটি
পেন্টাগনের আরো বিস্তৃত ডিজিটাল আধুনিকীকরণের অংশ, যা মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে আরো উন্নত করবে। বিশেষ করে, জেইডিআইর ফলে মার্কিন সেনাবাহিনী প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মানুষের তথ্য এবং ক্লাউড প্রযুক্তিতে সহজ প্রবেশাধিকার পাবে। পেন্টাগনের এ চুক্তি হস্তগত করতে মাইক্রোসফট ও অ্যামাজন দীর্ঘদিন লড়াই চালিয়ে আসছে।
পেন্টাগন মাইক্রোসফটকে বিজেতা ঘোষণার পর বিবৃতিতে অ্যামাজনের ক্লাউড প্রযুক্তি বিভাগ ‘অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস’ জানায়,
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পেন্টাগনের ক্লাউড চুক্তি নিয়ে চলা লড়াইয়ের উপসংহারটা তাদের বিস্মিত করেছে।
আইন বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যে, এ চুক্তি বিষয়ে অ্যামাজনের সামনে এখন দুটি পথ খোলা আছে। নিজেদের অভিযোগ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ইউএস গভর্নমেন্ট অ্যাকাউন্টিবিলিটি অফিসে (জিএও) যেতে পারে। এটি সরকারের আইনসভার একটি শাখা, যা নিরীক্ষণ সেবা দিয়ে থাকে। অথবা ইউএস কোর্ট অব ফেডারেল ক্লেইমসে যেতে পারে অ্যামাজন।