বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞার যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে- সেটা সত্য হলে তার পাশে থাকবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টা আমার একেবারেই অজানা ছিল। গণমাধ্যমে বিষয়টি জেনে আমি বিসিবির কাছে জানতে চেয়েছিলাম। তারা আমাকে জানিয়েছে যে- তারাও বিষয়টা জানতো না। তারা সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সাকিব হয়তো বিষয়টা হালকাভাবে নিয়েছেন। বিষয়টা যে এতদূর পর্যন্ত গড়াবে তা কেউ ভাবেনি।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু সামনেই ভারত সফর, এ ব্যাপারে আইসিসি কি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তা জানা জরুরি। আজই এ ব্যাপারে চিঠি পাঠিয়ে আইসিসির কাছে জানতে চাওয়া হবে।’
তবে আইসিসি থেকে যে সিদ্ধানই আসুক মন্ত্রণালয় সাকিবের পাশে থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আইসিসি কী ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে.. এটা অথেন্টিক (নিশ্চিত) কোন রিপোর্ট নয়। সিদ্ধান্ত যাই হোক, আমরা সাকিবের পাশে থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করব। তবে যেহেতু এটা আইসিসির বিষয়, আমাদের এখানে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। তবে এটা জানতে পেরে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। কীভাবে বিষয়টা সমাধান করা যায় তাও দেখছি।’
তিনি বলেন, ‘খেলোয়াররা আমাদের দেশের সম্পদ। তাদের রক্ষা করাও আমাদের দায়িত্ব। কোন অন্যায় না করলে তাদের যেন শাস্তি না দেওয়া হয়, সেটাও আমরা দেখবো। এ বিষয়ে বোর্ডকেও (বিসিবি) আমি নির্দেশ দিয়েছি, যেন তারা সার্বক্ষণিক আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ রাখে।’
এদিকে দেশের অনেক গণমাধ্যমের খবর গতকাল গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকেই খবর প্রকাশ করা হয়েছে যে, জুয়াড়িদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও তিনি তা আকসুকে জানাননি। এটা কোড অব কনডাক্ট অনুযায়ী অপরাধ। এর দায়ে তিনি ১৮ মাস পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারেন।
খবরে আরো বলা হয়, সম্ভবত সাকিব এর বিরুদ্ধে আপিলও করতে পারেন। আর যেহেতু আকসুর তদন্তে সাকিব সহযোগিতা করেছেন, তাই তিনি ক্ষমা চেয়ে আপিল করলে আইসিসি তাকে সর্বনিম্ন ছয় মাসের সাজা শোনাতে পারে। এই ধারায় এটিই সর্বনিম্ন সাজা।