‘প্রয়োগমুখী শিক্ষা দিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য’

প্রকাশ: অক্টোবর ২৮, ২০১৯

ফিচার প্রতিবেদক

দেশে উচ্চশিক্ষায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও অবদান রাখছে। এক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রয়োগমুখী শিক্ষাকে এগিয়ে রাখছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ধারাকে গুরুত্ব দিয়ে পাঠদান করছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। এর তত্ত্বাবধানে গুরুদায়িত্বে আছেন অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের অ্যাডভাইজর। তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের প্রায় দীর্ঘ ২৫ বছর কেটেছে অধ্যাপনায়। পাঠদান করেছেন খুলনা, ব্র্যাক, নর্থ সাউথ, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়সহ নামকরা প্রতিষ্ঠানগুলোয়। সম্প্রতি তিনি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের স্বাতন্ত্র্যিক বৈশিষ্ট্য কী বলে মনে করেন?

উচ্চশিক্ষায় নতুন মাত্রা যোগ করতে প্রয়োগমুখী শিক্ষাকে অবলম্বন করে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। কারণ প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে দরকার বাস্তবসম্মত প্রয়োগমুখী শিক্ষা। যেহেতু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষায় নতুন মাত্রা যোগ করছে, তাই একদম নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমরা দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে এবং বিশ্ব প্রতিযোগিতায় নিজেদের টিকিয়ে রাখতে প্রয়োগমুখী শিক্ষাদান পদ্ধতি চালু করেছি।

আপনাদের মতে, আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতি অনুসরণ করছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাই।

দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে দরকার শিক্ষার গুণগত মান রক্ষা করা। এজন্য আমরা আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতি ও শ্রেণী ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দিচ্ছি। এখানকার কারিকুলাম ডিজাইন করা হয়েছে বাস্তবভিত্তিক। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৯৫ শতাংশ শিক্ষকই শিক্ষকতায় বেশ অভিজ্ঞ। সেই যোগ্যতাসম্পন্ন অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা প্রয়োগমুখী শিক্ষাদানের পাশাপাশি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষক দ্বারা ইফেকটিভ টিচিং মেথডের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষক নিয়োগেও স্বচ্ছতা রয়েছে। আমরা যোগ্যতার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়ে থাকি সবসময়। শিক্ষায় আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার করেছি।

সিইউবিকে সম্পূর্ণ শিক্ষার্থীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় বলছেন। কেন?

এ দেশে যোগ্য শিক্ষক পাওয়া কঠিন। নামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও শিক্ষা-গবেষণা কম হয়। দেশের বাইরেও গবেষণার জন্য যে শিক্ষার্থীরা যায়, তারা দেশে ফেরে না অনেকেই। ফলে যোগ্য শিক্ষক সমস্যায় ভুগছে দেশ। অথচ উন্নত দেশে উচ্চশিক্ষায় অ্যাপ্লিকেশন ওরিয়েন্টেড শিক্ষা দিয়ে যোগ্য শিক্ষক তৈরি করে। এছাড়া উন্নত গবেষণাগার, আধুনিক লাইব্রেরিসহ অবকাঠামোগত সমস্যা তো রয়েছেই। ফলে এ দেশে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা ফলপ্রসূ হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে আমরা যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকদের নিয়োগ দিয়ে বিশ্বমানের দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করার চেষ্টা করছি।

সিইউবিকে শিক্ষাবান্ধব বলার কারণ প্রধানত দুটিশিক্ষা ও গবেষণা। শিক্ষাদানের জন্য সিইউবি অনুসরণ করছে আউটকাম বেসড শিক্ষাদান পদ্ধতি, যা অর্জনের জন্য আমরা প্রয়োগমুখী শিক্ষাদান করছি। অন্যদিকে সিইউবি গবেষণাকাজে উসাহ দিচ্ছে, কারণ গবেষণার দ্বারা লব্ধ জ্ঞানই ক্লাসরুমে ছাত্রদের শেখানো হয়।

অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য কেমন সুবিধা রয়েছে?

এ বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফির শতকরা ৪০ ভাগ সব শিক্ষার্থীকে ওয়েভার দেয়া হয়। আবার সেমিস্টারের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ১০০ ভাগ পর্যন্ত মেধাবৃত্তিও দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা সুন্দরভাবে চালানোর জন্য সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ভবিষ্যতেও নেবে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটিকে ভবিষ্যতে কোথায় দেখতে আগ্রহী?

একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় হতে গেলে তথ্যপ্রযুক্তিতে উন্নত হতে হবে। আমরা তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার ফলপ্রসূ প্রয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা পেয়ে বিশ্বমানের গ্র্যাজুয়েট তৈরি হয়। এখানকার শিক্ষার্থীরা যেন দক্ষ ও মানসম্মত শিক্ষকের অভাব পূরণ করে দেশের শিক্ষা খাতসহ অন্যান্য খাতে অবদান রাখতে পারে, সে চেষ্টা করে যাব অবিরত।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫