দুই বিপরীতে মেরুতে অবস্থান লিভারপুল ও টটেনহামের। ফর্ম কিংবা পরিসংখ্যান কোনো বিবেচনাতেই ঠিক লিভারপুলের ধারেকাছেও নেই স্পার্সরা। তার পরও প্রিমিয়ার লিগে জায়ান্টদের লড়াইয়ে অনেক সময়ই সব হিসাব-নিকাশ গৌণ হয়ে যায়। সবকিছু ছাপিয়ে মর্যাদার লড়াইটাই যেন বড় হয়ে ওঠে। যে লড়াইয়ের কারণেই ঠিক আগের ম্যাচে টেবিলের ১৪ নম্বরে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড রুখে দেয় শীর্ষে থাকা লিভারপুলকে। সেই একই অনুপ্রেরণা নিয়েই আজ অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের আতিথ্য নিতে যাবে টটেনহাম। লক্ষ্য একটাই, লিভারপুলকে তাদের মাঠে বড় ধাক্কা দেয়া। পাশাপাশি এ ম্যাচ স্পার্সদের জন্য প্রতিশোধেরও। লিভারপুলের কাছে হেরেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা হাতছাড়া হয়েছিল তাদের।
আজ লিভারপুল পয়েন্ট হারালে যেকোনো বিবেচনায় সেটি বাড়তি সুবিধা দেবে ম্যানচেস্টার সিটিকে। তবে টটেনহামের জন্যও এ ম্যাচ থেকে অর্জন করার আছে অনেক কিছু। এ ম্যাচ থেকে ৩ পয়েন্ট অর্জন করা মানে সেরা চারে ঢোকার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনেকটাই এগিয়ে যাবে স্পার্সরা। বর্তমানে ৯ ম্যাচে টটেনহামের পয়েন্ট ১২। অবশ্য দ্বিগুণের বেশি পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল। ৯ ম্যাচ থেকে লিভারপুল অর্জন করেছে ২৫ পয়েন্ট। ম্যানইউর সঙ্গে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ড্র করার আগে এ মৌসুমে টানা ৮ এবং সব মিলিয়ে টানা ১৭ ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছিল ইয়ুর্গেন ক্লোপের দল। তবে অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের রেকর্ডের দিকে তাকালে দমে যাওয়ার কথা স্পার্সদের। নিজেদের দুর্গে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৪৪ ম্যাচে অপরাজিত লিভারপুল। ৩৪ জয়ের বিপরীতে ১০টি ড্র। অন্যদিকে অ্যাওয়েতে স্পার্সদের পারফরম্যান্স বেশ হতাশাজনক। সর্বশেষ ১০ ম্যাচের ৮টিতেই হার, ড্র অন্য দুই ম্যাচে। এ অবস্থায় লিভারপুলের বিপক্ষে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়ে ফিরে আসার ‘অসম্ভব’কে সম্ভব করার মতোই চ্যালেঞ্জিং।
লিভারপুলের জন্য আশার খবর দলের তিন ফরোয়ার্ডের এক সঙ্গে ফর্মে ফেরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গেঙ্কের সঙ্গে দারুণভাবে জ্বলে উঠেছেন সালাহ, সাদিও মানে ও রবার্তো ফিরমিনো। সালাহ ও মানে গোলও পেয়েছেন সে ম্যাচে। এছাড়া মিডফিল্ডে নাকি কেইতার ফেরাও বাড়তি শক্তি জোগাচ্ছে ‘অল রেড’ শিবিরে। ইনজুরি কাটিয়ে গোলপোস্টের নিচে দৃঢ়তা দেখাচ্ছেন অ্যালিসনও। এএফপি ও বিসিবি