৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (কেপিসিএল) পরিচালনা পর্ষদ। আগামী ১ ডিসেম্বর কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ নভেম্বর। এজিএমের স্থান ও সময় পরে জানানো হবে।
সমাপ্ত হিসাব বছরে কেপিসিএলের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৫০ পয়সা। আগের হিসাব বছরে ইপিএস ছিল ৬ টাকা ১৮ পয়সা। এ হিসাবে সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ২ টাকা ৬৮ পয়সা বা ৪৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এর কারণ হিসেবে কোম্পানিটি জানিয়েছে, তাদের তিনটি বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিটের মধ্যে ১১০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি গত বছরের ১৩ অক্টোবর থেকেই উৎপাদনে নেই। এছাড়া বোনাস শেয়ার ইস্যুর কারণে কোম্পানিটির শেয়ার ক্যাপিটালের পরিমাণও বেড়েছে। মূলত এসব কারণেই সমাপ্ত হিসাব বছরে ইপিএস কমেছে কেপিসিএলের।
৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ২০ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২৬ টাকা ৮৭ পয়সা। ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৩০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় কেপিসিএল।
সর্বশেষ রেটিং অনুসারে কেপিসিএলের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ট্রিপল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-ওয়ান’। ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নিরীক্ষিত ও চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার কেপিসিএল শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৪৫ টাকা ৯০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৪১ টাকা ৪০ পয়সা ও ১২৮ টাকা ৫০ পয়সা।
দেশের প্রথম বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি শেয়ারবাজারে আসে ২০১০ সালে। বর্তমানে কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৭০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩৯৭ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৫৭৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৩৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৩ হাজার ১৮০। এর মধ্যে ৬৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালক, ১১ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক ৭২ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ১৮ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।