স্করসেস টারান্টিনো সংলাপ

প্রকাশ: অক্টোবর ২৫, ২০১৯

অনুবাদ : সৈকত দে

[প্রথম কিস্তি]

মার্টিন স্করসেস কোয়েনটিন টারান্তিনো জাত গল্পবলিয়ে, তাদের সিনেমা, যা কিনা প্রত্যেক পরিচালকের নিখুঁত কাজের স্মারক, তারা মাধ্যমটির প্রতি গভীরে প্রোথিত প্রেমের জন্যও পরিচিত। স্করসেস আর টারান্তিনোর ভক্ত আলাদা প্রজন্মের স্করসেস হলেন মধ্য ষাটের ফিল্ম স্কুল স্নাতকদের প্রথম তরঙ্গ আর টারান্তিনো নব্বইয়ের শুরুর দিকে ইন্ডি চলচ্চিত্র বিপ্লবের সমান্তরালে ছড়িয়ে পড়াদের একজন। সিনেমার প্রতি ভালোবাসা জ্ঞানে তারা একাসনে বসেছেন। সব ধরনের ফিল্মই তারা নির্মাণ করেছেন, সম্মানজনক স্টুডিও রিলিজ হোক কিংবা বি গ্রেডের রক্ত গরম ফিল্ম, ঢেউ তোলা মিউজিক্যাল অথবা ধ্বংসাত্মক রোমাঞ্চ কাহিনী, আর্ট হাউজ ফিল্ম হোক কিংবা অল্প বাজেটের ওয়েস্টার্ন সিনেমা। সারা জীবন মহাভোজের পথেই তারা চলেছেন, তাদের কাজে, সৃষ্টি করা চরিত্রে এবং যে লেন্সের ভেতর দিয়ে পৃথিবীটাকে দেখেছেন, তার মধ্য দিয়ে এটা দেখা যায়। দুজন পরিচালকের জন্যই বছরটি বিশেষ পর্যবেক্ষণযোগ্য বছর। টারান্তিনোর ওয়ান্স আপন টাইম ইন হলিউড কানে দেখানো হতেই ক্রিটিক আর দর্শকের মধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছে যখন স্করসেসের দি আইরিশম্যানের প্রশংসা আকাশে-বাতাসে। সিনেমার জন্য পরিচালক অনেকটা সময় নিয়েছিলেন, মূল কুশীলবদের বয়স প্রযুক্তির সাহায্যে উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দিতে (প্রধান তিন চরিত্রের আশি ছুঁই ছুঁই বয়স, তাদের তরুণ বয়স দেখিয়েছেন ডি এজিং ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যেঅনুবাদক) তারা দুজন ডিজিএ কোয়ার্টালির সঙ্গে বসেছিলেননানা বিষয়ের পাশাপাশি পরিচালক, নিজেদের ওপর অন্যের প্রভাব আর ভায়োলেন্সকে বিশোধক হিসেবে ব্যবহারের কথা বলতে। এটি তাদের আলাপের সম্পাদিত সংস্করণ।

স্টিভ চাগোলান

মার্টিন স্করসেস। আমি মাত্র লাস্ট কাট ফাইনালাইজ করলাম (দি আইরিশম্যান)

কোয়েনটিন টারান্টিনো। আমিও একেবারে শেষে এমন অবস্থায় পড়ি, যেখানে মনে হয়, এভাবে দেখি তো, ওভাবে চেষ্টা করি তো। কিন্তু আমাদের সুস্থির হতে হয়, আর তার বাদে আমি ওই রাতে বাড়ি ফিরি আর ভাবি, বুঝতেই পারছ চাঁদ, এটা ছিল বীভৎস, পুরো ব্যাপারটা আবার কাল শুরু থেকে করতে হবে।

স্করসেস। এটা তিন মাসের বেশি সময় নিয়েছে। কারণটা মজার জিনিসই বটে, নির্দিষ্ট ফিল্মে আমি সত্যিই স্ক্রিনে বেশি কিছু সত্যিই দেখাইনি, কারণ গত ছয় মাসজুড়ে চরিত্রদের বয়স পেছনে নিয়ে যাওয়ার কাজে ব্যস্ত ছিলাম।

টারান্টিনো। হ্যাঁ হ্যাঁ।

স্করসেস। সুতরাং আমরা যা করলাম তা ছিল খুবই ইন্টেন্স। আর তাই শেষটা যেন দুই শটের, মধ্যে আরেকটা শট ঢোকালাম, তারপর (আমি ভাবছিলাম), দাঁড়াও, মাঝের শট কী একান্ত জরুরি? হয়তো আমরা ওয়াইড শটটা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে পারি। আমরা এজন্য ওটা কয়েকবার করার চেষ্টা করলাম আর তার বাদে আমাদের কয়েকজন বন্ধু বললেন, তোমার অন্য একটা শট

সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫