চকবাজারের স্থাপত্যিক মূল্য

প্রকাশ: অক্টোবর ২৩, ২০১৯

তাসলিম শাকুর ,ড. রুখসানা হাফিয

ঢাকার কেন্দ্রীয় অবস্থান মোগল সুবেদার ইসলাম খানকে ১৬১০ সালে এখানে তার রাজধানী প্রতিষ্ঠায় উৎসাহিত করেছিল। ঢাকার মোগল শহর পুরনো দুর্গকে (বর্তমানে পুরনো কেন্দ্রীয় জেলখানা) ঘিরে দ্রুতগতিতে সম্প্রসারিত হয়েছিল। প্রধানত একটি অভ্যন্তরীণ বন্দর বা শাহ বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্রেও পরিণত হয়েছিল। দেশী-বিদেশী ব্যবসায়ীরা ঢাকায় ব্যবসা করতে আসতেন। ঢাকা বিকাশ লাভ করায় কারিগর, কারুশিল্পী উৎপাদকরা এখানে বসতি গড়ার জন্য এসেছিল। সোনা, রুপা, কাঁসা বা পিতল, কাঠ শঙ্খ দিয়ে অলংকরণকর্মের এখানে বিকাশ ঘটেছিল, তবে সুতি পণ্য অন্য সবকিছুকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। মোগল শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় মসলিন শাড়ির উন্নয়ন ঘটেছিল। বলা হয়ে থাকে যে আঠোরো শতকে প্রতি বছর ২৮ লাখ রুপি থেকে ৪০ লাখ রুপি সমমূল্যের সুতি পণ্য ঢাকা থেকে রফতানি হতো এবং এর বেশির ভাগ যেত ইউরোপে।

বিকাশের তুঙ্গ সময়ে ঢাকার জনসংখ্যা ছিল নয় লাখ। অবশ্য সুবেদার মুর্শিদকুলি খান ১৭১৫-১৬ খ্রিস্টাব্দে রাজধানী মুর্শিদাবাদে যখন স্থানান্তর করল, তখন ঢাকা পতন হতে শুরু করল। তবে মোগল সেনাবাহিনী নৌবাহিনীর সদর দপ্তর তিনি পূর্ব বাংলায় রেখে দিয়েছিলেন। মির্জা লুত্ফুল্লাহের (দ্বিতীয় মুর্শিদকুলি খান) উপসুবেদারিত্বের অধীনে মির্জা হাবিব ত্রিপুরা দখল করেছিলেন এবং সেটিকে ঢাকার এখতিয়ারের অধীনে এনেছিলেন। এই বিজয়ের পর ঢাকার ব্যবসা-বাণিজ্য অফুরানভাবে সম্প্রসারিত হয়েছিল।

আবারো ঢাকার ব্যবসা-বাণিজ্যে লক্ষণীয় অবনমন ঘটেছিল, যখন ১৭৬৫ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার শাসক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ভারত বিজয়ের আগে, ব্রিটিশরা বাংলাকে তাদের অধীন করেছিল। বাণিজ্যের ওপর তাদের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ, অত্যধিক কর-শুল্ক আরোপ ঢাকার বাণিজ্য ম্লান করেছিল। একই সঙ্গে পরবর্তী সময়ে কলকাতায় রাজধানী স্থানান্তরের কারণেও ঢাকার ব্যবসাপ্রবাহের বিরাট অংশ হাতছাড়া হয়েছিল। বাণিজ্যের বেশির ভাগই গতানুগতিক ধরন অনুসরণ করেছিল এবং মোগল শাসনের পতনের কারণে অর্থনৈতিক জীবন ছিল উদ্যমহীন, অবসন্ন। বছরজুড়ে নাব্য ধরে রাখার জন্য দারুণভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা নৌপথগুলো ঔপনিবেশিক শাসক/ প্রশাসকের ব্যাপকতর উদাসীনতা, অবহেলা এবং রেলপথ যন্ত্রচালিত যান প্রবর্তনের কারণে হতাশাজনক পরিস্থিতিতে পড়ে। নিরাপত্তার অভাব ব্যবসায়ীদের কলকাতায় পণ্য রফতানিতে বাধ্য করে। অভ্যন্তরীণ


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫