মাসে ৩ হাজার ডলার পরিশ্রমিক, চুক্তিটা তিন মাসের। তবে ৪৪ দিনের মাথায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন তাকেও ইনোকি! ঢাকা থেকে জাপান ফেরার পথে এ সাঁতার কোচের সঙ্গী হয়েছে সাঁতারু নির্যাতনের দুঃসহ স্মৃতি!
প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে মোবাইল ফোন-সংক্রান্ত আইন ভঙ্গ করায় শরিফা আক্তার মিমকে শাস্তি দেন জুনিয়র দলের কোচরা। প্রখর রোদে শাস্তির মাত্রা এতটাই প্রকট ছিল যে একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্সের মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন মিম। তা দেখে ছুটে আসেন সিনিয়র দলের কোচ ইনোকি।
তিনি অসুস্থ সাঁতারু মিমের পরিচর্যায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন জুনিয়র দলের কোচদের। বরফ নিয়ে আসা ও অ্যাম্বুলেন্স ডাকার আকুতি ছিল তার কণ্ঠে। তা না করে বরং হাসি-তামাশায় মেতে ওঠেন কোচরা। তাদের দাবি ছিল, মিম অভিনয় করছেন। এ সময় ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক ও কোচ আবদুল হামিদ এবং সাবেক সাঁতারু ও কোচ শাহজাহান আলী রনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা বণিক বার্তাকে নিশ্চিত করেন।
পরবর্তী সময়ে মিমকে মিরপুর ১০ নম্বরের আলোক হেলথ কেয়ারে নেয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর এ খুদে সাঁতারু সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে সুইমিং কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন বলে ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক এমবি সাইফ নিশ্চিত করেছেন।
খুদে সাঁতারুকে শাস্তি প্রদান, জ্ঞান হারানোর পর তাকে নিয়ে হাসি-তামাশা ও বারবার অনুরোধ করেও তার জন্য সহায়তা না পাওয়ার ঘটনায় বেশ চটেছেন ইনোকি। ঘটনার পর নিজের কক্ষে দরজা বন্ধ করে বসেছিলেন। দুপুরের খাবারও খাননি, কারো সঙ্গে কথাও বলেননি তিনি।
সন্ধ্যার দিকে পুলিশের সহায়তা নিয়ে মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্স ছেড়ে যান জাপানি কোচ। যাওয়ার আগে জাতীয় দলের কোচের পদও ছাড়েন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করার পাশাপাশি ঘটনার বর্ণনাও দেন এ কোচ।
‘ডিসেম্বরে হতে যাওয়া এসএ গেমসের আগে আমার এমন সিদ্ধান্ত ছিল কঠিন। কিন্তু যে ব্যক্তি বা সংস্থা সাঁতারুদের শারীরিক শাস্তি প্রদান ও অপদস্ত করে, তাদের সঙ্গে কোনো আপস নেই। এটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ’—সামাজিকমাধ্যমে করা পোস্টে জানান ইনোকি।
এ ঘটনায় তাত্ক্ষণিকভাবে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাঁতার ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক এমবি সাইফ, ‘আমরা এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’
সাঁতারুকে শাস্তি প্রদানের বিষয়ে ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘ক্যাম্পে শৃঙ্খলা রক্ষার্থে শাস্তি দেয়া হয়ে থাকে। এমনটি অতীতেও করা হয়েছে। কিন্তু রোববার ক্যাম্পে আসলে কী