জাতীয় লিগে দারুণ ফর্ম অব্যাহত রেখেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রথম রাউন্ডে ম্যাচ সেরা এ অলরাউন্ডার দ্বিতীয় রাউন্ডেও অব্যাহত রেখেছেন নৈপুণ্য। এবার বিপর্যয়ে পড়া দলকে দারুণ ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে উদ্ধার করেছেন। এখন সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৫ রান দূরে আছেন তিনি। এদিকে মাহমুদউল্লাহর লড়াইয়ের দিনে সেঞ্চুরি পেয়েছেন লিটন দাশ ও নাঈম ইসলাম। তাদের ব্যাটেই ঢাকাকে জবাব দিচ্ছে রংপুর। তবে খুলনার বিপক্ষে হার দেখছে রাজশাহী। নাটকীয় কিছু না ঘটলে ম্যাচ বাঁচানো বেশ কঠিন হবে রাজশাহীর জন্য। আরেক ম্যাচে বরিশালকে বিপর্যয় থেকে বাঁচিয়েছেন নুরুজ্জামান।
প্রথম স্তরে চ্যাম্পিয়ন রাজশাহীর বিপক্ষে জয়ের স্বপ্ন দেখছে পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে থাকা খুলনা। শেষ দিনে জয়ের জন্য ১০৮ রান প্রয়োজন খুলনার, হাতে আছে ৯ উইকেট। তৃতীয় দিন ৬ উইকেটে ২২৭ রানে ব্যাট করতে নামা খুলনাকে পথ দেখান নুুরুল হাসান সোহান। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৯৭ রানে। আর খুলনা গিয়ে থামে ৩০৯ রানে। এরপর পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে রাজশাহী। আল আমিন ও আবদুর রাজ্জাকের দারুণ বোলিংয়ে ১৭০ রানে গুটিয়ে যায় তারা। নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৭ ও মুশফিকুর রহিম করেন ৪৪ রান।
প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচে লিটন দাশ ও নাঈম ইসলামের সেঞ্চুরিতে ঢাকাকে দারুণ জবাব দিচ্ছে রংপুর। ড্রয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়া ম্যাচটিতে তৃতীয় দিন শেষে ঢাকার ৮ উইকেটে ৫৫৬ রানের জবাবে রংপুর করেছে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান। নাঈম অপরাজিত আছেন ১২৪ রানে। এর আগে আগের দিনের ৫১ রানে ব্যাট করতে নামা লিটন থেমেছেন ১২২ রানে। সুমন ও সালাউদ্দীন নেন ২টি করে উইকেট।
দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ঢাকা মেট্রোর হয়ে একাই লড়ছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রথম ইনিংসে ৬৩ রান করা মাহমুদউল্লাহ দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত আছেন ৯৫ রানে। সিলেটের করা ৩১৯ রানের জবাবে একপর্যায়ে ১৬৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে মেট্রো। কিন্তু এক প্রান্তে মাহমুদউল্লাহ একাই টেনে নেন দলকে। পরে দিনের শেষ ভাগে তাকে কিছুটা সঙ্গ দেন শহিদুল। ২৯ রানে অপরাজিত আছেন এ ব্যাটসম্যান।
প্রথম ইনিংসে মেট্রোর ২৪৬ রানের জবাবে ৩১৯ রানে থামে সিলেট। জাকির হাসান ও জাকের আলী করেন ৭১ রান। ৫ উইকেট নেন আবু হায়দার, শহিদুল নেন ৩ উইকেট। এখন