ফুটবল থেকে বর্ণবাদ তাড়াতে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ফিফা। দুদিন আগেই বাংলাদেশ সফরকালে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো বলেন, বর্ণবাদকে কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না এবং এটি রুখতে সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে। তার দেশ ইতালিতে বর্ণবাদ যেন মহামারী আকার ধারণ করেছে। প্রায় প্রতি ম্যাচেই বর্ণবাদের ঘটনা ঘটছে। এটি রুখতে ব্যবস্থা নিচ্ছে দেশটির ফেডারেশন। গ্যালারিতে কোনো দর্শক বর্ণবাদী কথা বললেই তাকে চিহ্নিত করতে সাহায্য নেয়া হবে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) মতো প্রযুক্তির। এ নিয়ে আলোচনা চলছে।
সম্প্রতি ইতালিতে বেশকিছু ক্লাব বর্ণবাদ ইস্যুতে শাস্তি এড়াতে সমর্থ হয়। শৃঙ্খলা কমিটির যুক্তি, স্টেডিয়ামের বিশাল অঞ্চলে দু-একজনের উচ্চারিত শব্দ খুঁজে বের করা কঠিন। যদিও এটা টিভির পর্দায় শোনা গেছে। সম্প্রতি এমনটি ঘটেছে ইন্টার মিলানের ফরোয়ার্ড রোমেলু লুকাকুর বেলায়। তাকে উদ্দেশ করে বানরের ধ্বনি উচ্চারণ করার পরও কোনো শাস্তি দেয়া হয়নি ক্যালিয়ারিকে।
ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েলে গ্রাভিনার মতে, মাঠে নিদেনপক্ষে একজন দর্শকও বর্ণবাদের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাকে যেন খুঁজে শাস্তির আওতায় আনা যায়, সে ব্যাপারে ইতালির ফুটবল প্রশাসন ও সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। তার কথায়, ‘এটা আমাকে অবাক করে যে কিছু শব্দ পরিষ্কার শোনা যায় আর কিছু শোনা যায় না। কাজেই এ নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে, কেননা এটা তো স্বাভাবিক কিছু নয়। বর্ণবাদের কথাগুলো কতটা উচ্চ বা নিম্নস্বরে বলা হচ্ছে, আমি তা নিয়ে খুব একটা আগ্রহী নই। অপরাধী একজন, দুজন কিংবা ১০ জন হোক না কেন, আমি চাই এতে হস্তক্ষেপ করতে।’
এ সময় তিনি জানান, ভিএআর সিস্টেসের মতোই কিছুর সাহায্য তারা নিতে চান। গ্রাভিনার কথায়, ‘ক্লাবগুলো এখন প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে ওইসব ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে পারে। আমরা এ-সংক্রান্ত প্রযুক্তির পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছি। আশা করি, শিগগিরই এ নিয়ে কথা বলব। এ ব্যাপারে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছি এবং অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দিতে কিছু কড়া নিয়ম পাস হতে চলেছে। আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করব, তবে অবশ্যই এ কাজে পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাহায্য নেব।’
ইএসপিএন