গত বছরের ৪ মে আনুষ্ঠানিক যাত্রা করেছিল চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা ব্র্যান্ড রিয়েলমি। দেড় বছরের কম সময়ের মধ্যে গ্রাহক সংখ্যায় রেকর্ড করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী রিয়েলমি স্মার্টফোনের গ্রাহক ১ কোটি ৭০ লাখে পৌঁছেছে। গত ৯০ দিনেই নতুন করে গ্রাহক হয়েছেন প্রায় ৭০ লাখ। এর মধ্য দিয়ে আগামী দিনগুলোয় স্মার্টফোন বাজারে বিদ্যমান প্রতিযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর এনডিটিভি ও টেকরাডার।
রিয়েলমির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের মে মাসে রিয়েলমি ১ মডেলের স্মার্টফোন নিয়ে টেলিকম জগতে যাত্রা করে শেনঝেংভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি। এরপর বাজারে ছাড়া হয় রিয়েলমি ২, রিয়েলমি ২ প্রো, রিয়েলমি সি১ ও রিয়েলমি ইউ১ মডেলের স্মার্টফোন। ভালো মান ও দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় চীন ও ভারতের বাজারে জনপ্রিয়তা পায় এসব স্মার্টফোন।
প্রতিষ্ঠানটির ভারত শাখার সিইও মাধব শেঠ এক টুইটার বার্তায় জানিয়েছেন, দেড় বছর না পেরোতেই বিশ্বজুড়ে রিয়েলমি স্মার্টফোনের সক্রিয় গ্রাহক দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখে। এর মধ্যে ৭০ লাখ গ্রাহকই গত ৯০ দিনে রিয়েলমি পরিবারে যুক্ত হয়েছে। তবে এর বেশি কোনো তথ্য তিনি প্রকাশ করেননি। এমনকি কোন দেশে রিয়েলমির কত সক্রিয় গ্রাহক রয়েছে, তাও জানাননি প্রতিষ্ঠানটির ভারতীয় প্রধান।
গত জুনে সংবাদমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে মাধব শেঠ বলেছিলেন, চলতি বছর শেষে ভারতের স্মার্টফোন বাজারের ১৫ শতাংশ নিজেদের দখলে নেয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে রিয়েলমি। এ সময়ের মধ্যে ভারতের বাজারে ১ কোটি ৫০ লাখ ইউনিট হ্যান্ডসেট বিক্রির চেষ্টা করা হবে। আশা করা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে মার্কেট শেয়ারের ১৫ শতাংশের লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হবে।
বাজার দখলের লক্ষ্য পূরণে প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে বিশ্ববাজারে রিয়েলমি এক্স, রিয়েলমি এক্সটি, রিয়েলমি এক্স২ প্রো মডেলের স্মার্টফোন ছেড়েছে। এসব স্মার্টফোনের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। জনপ্রিয়তাও পেয়েছে দ্রুত। ফলে আগামী দিনগুলোয় বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারে অপো, স্যামসাং, হুয়াওয়ে, শাওমির মতো পুরনো ব্র্যান্ডগুলোর জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসছে রিয়েলমি।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, তুলনামূলক নবীন হলেও বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারে রিয়েলমির বিস্ময়কর উত্থান ঘটছে। গত জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেরা ১০টি স্মার্টফোনের তালিকায় জায়গা পেয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠানটির হ্যান্ডসেট। এমনকি চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) প্রতিষ্ঠানটি রেকর্ড প্রবৃদ্ধির দেখা পেয়েছে।