নিরীক্ষা দাবির অর্থ আদায়ে গ্রামীণফোন ও রবিতে প্রশাসক নিয়োগের অনুমতি চেয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) আবেদনে সম্মতি দিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। অপারেটর দুটির প্রত্যেকটিতে একজন প্রশাসকসহ চারজন করে কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ার উদ্যোগ নেবে বিটিআরসি।
সেলফোন অপারেটর দুটিতে প্রশাসক নিয়োগে অনুমতি প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, বিটিআরসি প্রশাসক নিয়োগে যে অনুমতি চেয়েছিল, তাতে সম্মতি দেয়া হয়েছে। প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টি বাস্তবায়ন করবে বিটিআরসি। প্রশাসক কাকে নিয়োগ করা হবে, সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর উপদেশ নেয়া হবে। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অর্থ আদায় হয়ে গেলে প্রশাসক আর থাকবে না। এ নিয়োগের পর অপারেটরদের এনওসি প্রদানের বিষয়টি চালু করা হতে পারে। প্রশাসক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা এখন সময়ের ব্যাপারমাত্র।
বিটিআরসির দাবি অনুযায়ী, নিরীক্ষা আপত্তিতে গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ ও রবি আজিয়াটার কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে সরকারের। গত এপ্রিলে পাওনা অর্থ দাবি করে গ্রামীণফোন ও রবিকে নোটিস পাঠায় বিটিআরসি। অর্থ পরিশোধে অপারেটর দুটিকে দুই সপ্তাহ সময় দেয়া হয়।
তবে এ সময়ের মধ্যে নিরীক্ষা আপত্তির পাওনা অর্থ পরিশোধ না করায় গত ৪ জুলাই দুই সেলফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির ব্যান্ডউইডথ ক্যাপাসিটি সীমিত করার নির্দেশ দেয় বিটিআরসি। ওইদিন গ্রামীণফোনের ব্যান্ডউইডথ ক্যাপাসিটি ৩০ ও রবির ব্যান্ডউইডথ ক্যাপাসিটি ১৫ শতাংশ সীমিত করতে বেসরকারি পাঁচ ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরকে নির্দেশ দেয় সংস্থাটি। এর দুদিন পর রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডকে (বিটিসিএল) আইআইজি হিসেবে গ্রামীণফোন ও রবির ব্যান্ডউইডথ ক্যাপাসিটি সীমিত করার নির্দেশ দেয়া হয়।
ব্যান্ডউইডথ সীমিত করার সিদ্ধান্তের পর রবি আজিয়াটা জানিয়েছিল, এতে সাধারণ গ্রাহকই সমস্যায় পড়বে। আর একই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিটিআরসির সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিল গ্রামীণফোন। প্রতিষ্ঠান দুটি নিরীক্ষা আপত্তির বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
তবে গ্রাহকের সমস্যার কারণ দেখিয়ে ১৩