সিলেটে স্টোন ক্রাশার জোন স্থাপন

তিন মাসের নির্দেশনা ৩৩ মাসেও বাস্তবায়ন হয়নি

প্রকাশ: অক্টোবর ১৭, ২০১৯

দেবাশীষ দেবু সিলেট

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে বালাপুঞ্জি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঠিক পাশেই তিনটি পাথর ভাঙার কল (স্টোন ক্রাশার মেশিন) দিনভর উচ্চশব্দে পাথর ভাঙা হয় এসব কলে। পাথর ভাঙার ফলে সৃষ্ট ধুলোয় অন্ধকার হয়ে থাকে পুরো এলাকা। ধুলো শব্দের কারণে ব্যাহত হয় বিদ্যালয়ের পাঠদান। শিক্ষার্থীরাও অসুস্থ হয়ে পড়ে ঘন ঘন।

বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, দিনের বেলাও স্কুলের দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখতে হয়। তবু ধুলো আর শব্দ ঠেকানো যায় না। এখানকার শিক্ষার্থীদের কাশি-সর্দি লেগেই থাকে।

সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুলে সড়কের গা ঘেঁষেই গড়ে উঠেছে অসংখ্য পাথর ভাঙার কল। পাশেই সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দরের রানওয়ে। কল থেকে পাথরগুঁড়ো ছড়িয়ে পড়ে বিমানবন্দরের সংরক্ষিত এলাকায়ও। সড়ক দিয়ে যাওয়া বিমানযাত্রীদেরও দুর্ভোগে পড়তে হয়।

কেবল একটি-দুটি এলাকা নয়, সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর কানাইঘাট এই পাঁচ উপজেলার যেখানে সেখানে গড়ে উঠেছে দেড় হাজার পাথর ভাঙার কল। অনেক ক্ষেত্রে আবাসিক এলাকা কৃষিজমি ধ্বংস করেও গড়ে উঠছে এসব কল। এগুলোর একটিরও পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই। অবৈধ এসব কল শব্দদূষণ, বায়ুদূষণের কারণে পরিবেশ জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।

পাথর ভাঙার কলের পরিবেশ বিপর্যয়ের বিষয়টি উল্লেখ করে উচ্চ আদালতে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে আলাদা একটি জোন করে সিলেটের সব পাথর ভাঙার কল সেখানে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন আদালত। নির্দেশনা দেয়া হয় যেখানে সেখানে গড়ে ওঠা সব অবৈধ কল বন্ধ করে দেয়ারও। এরপর প্রায় ৩৩ মাস পেরোতে চললেও বাস্তবায়ন হয়নি আদালতের নির্দেশনা। এখনো আগের অবস্থাতেই রয়ে গেছে পাথর ভাঙার কলগুলো।

এছাড়া স্টোন ক্রাশিং মেশিন স্থাপন নীতিমালা ২০০৬ অনুসারে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫০০ মিটার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বসতবাড়ির ১০০ মিটার এবং প্রধান সড়ক-মহাসড়কের ৫০ মিটারের মধ্যে কোনো পাথর ভাঙার কল স্থাপন করা যাবে না।

এসব বিষয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক

সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫