তারা দুজন বিশ্বের সেরা ফুটবলার হওয়ার দৌড়ে থাকেন প্রতি বছর। এতে কখনো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, কখনোবা লিওনেল মেসিই শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পান। দুজন সমান পাঁচবার করে জিতেছেন মর্যাদাপূর্ণ ব্যালন ডি’অর শিরোপা। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বরাবরই মুকুটটা পান রোনালদো। আরেকবার তিনি এ রেসে মেসিকে পেছনে ফেললেন।
গত বছর ইনস্টাগ্রামে মেসির দ্বিগুণেরও বেশি আয় করেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। এ সময় রোনালদো আয় করেন ৩ কোটি ৮২ লাখ পাউন্ড, মেসি আয় করেন ১ কোটি ৮৭ লাখ পাউন্ড। এমনকি প্রভাবশালী ইংলিশ সুপারস্টার ডেভিড বেকহামও এ লড়াইয়ে রোনালদোর অনেক পেছনে। ইনস্টাগ্রাম থেকে বেকহামের আয় ৮৬ লাখ পাউন্ড।
৩৪ বছর বয়সী রোনালদো ক্যারিয়ারের গোধূলিলগ্নে এসেও মাঠে ও মাঠের বাইরে বিশাল প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা রাখেন। জুভেন্টাস ও পর্তুগালের হয়ে নিয়মিত পারফরমার, সদ্যই ক্যারিয়ারের ৭০০তম গোল পেলেন। দুরন্ত ফর্মে থাকা এ খেলোয়াড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও খুব জনপ্রিয়।
ইনস্টাগ্রামে তারকাদের পোস্ট ও তা থেকে আয় বের করতে সমীক্ষা চালায় বাজ ব্লিঙ্গো। তারা জানায়, আমেরিকান মডেল কেন্ডাল জেনার ও সেলেনা গোমেজকে পেছনে ফেলে রোনালদোই এক নম্বরে। গত ১২ মাসে ৩৪টি ‘স্পন্সরড পোস্ট’ দিয়েছেন রোনালদো, যার প্রতিটি থেকে আয় হয়েছে ন্যূনতম ৭ লাখ ৮০ হাজার পাউন্ড। এতে বছরে মোট এসেছে ৩ কোটি ৮২ লাখ পাউন্ড। মেসি ৩৬টি পোস্ট দিয়েছেন, প্রতিটি থেকে আয় করেন ৫ লাখ ১৮ হাজার পাউন্ড। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বেকহাম প্রতিটি পোস্টে আয় করেন ২ লাখ ৮৬ হাজার পাউন্ড করে।
রোনালদো ও মেসি রয়েছেন আয়ের এক ও দুই নম্বরে। তিনে জেনার আর চারে বেকহাম। এছাড়া গত ১২ মাসে প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার ৫৮ লাখ পাউন্ড ও সুইডিশ তারকা জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ ৩২ লাখ পাউন্ড আয় করেন। নেইমার পোস্টপ্রতি ৫ লাখ ৭৮ হাজার পাউন্ড ও ইব্রা ১ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড পেয়েছেন। স্পোর্টসমেইল