চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) চীনা টেক জায়ান্ট হুয়াওয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ধারণা করা হচ্ছিল, এ নিষেধাজ্ঞার জের ধরে চীনা প্রতিষ্ঠানটি রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। তবে বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) চ্যালেঞ্জ ছাপিয়ে হুয়াওয়ের রাজস্ব আয় আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় প্রায় ২৭ শতাংশ বেড়েছে। একই সঙ্গে চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) হুয়াওয়ের রাজস্ব আয়ে ২৪ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি বজায় ছিল। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ও রয়টার্স।
চীনের সবচেয়ে বড় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হুয়াওয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব আয় দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৯৫০ কোটি ইউয়ান (চীনা মুদ্রা) বা ২ হাজার ৯৬০ কোটি ডলারে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে হুয়াওয়ের রাজস্ব বেড়েছে ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ।
একই সঙ্গে চলতি বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর চীনা প্রতিষ্ঠানটির সম্মিলিত রাজস্ব আয় দাঁড়িয়েছে ৬১ হাজার ৮০ কোটি ইউয়ানে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। প্রতিষ্ঠানটির নিট প্রফিট মার্জিন এখনো ৮ দশমিক ৭ শতাংশে রয়েছে।
তৃতীয় প্রান্তিকে বড় ধরনের মুনাফা করায় টেক বিশেষজ্ঞরা হুয়াওয়ের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। তাদের মতে, মে মাসে কার্যকর হওয়া এ নিষেধাজ্ঞার কোনো প্রভাবই পড়েনি হুয়াওয়ের ওপর। তা না হলে প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব আয় প্রায় ২৭ শতাংশ বাড়ত না।
হুয়াওয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মূলত স্মার্টফোন বিক্রি আগের তুলনায় বেড়ে যাওয়ায় গত প্রান্তিকে রাজস্ব আয়ও বেড়েছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে হুয়াওয়ে ধাক্কা খেয়েছে। তবে চীন, ভারতসহ এশিয়ার দেশগুলোয় প্রতিষ্ঠানটি রমরমা ব্যবসা করেছে। এশিয়ার স্মার্টফোন বাজারের ওপর ভর করেই তৃতীয় প্রান্তিকে রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধির দেখা পেয়েছে হুয়াওয়ে।
নিষেধাজ্ঞার কারণে হুয়াওয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোবাইল যন্ত্রাংশ আমদানি করতে পারছে না। এ বিষয়ে গত জুনে হুয়াওয়ের প্রধান নির্বাহী রেন ঝেংফেই বলেছিলেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে আগামী দুই বছর হুয়াওয়ের ৩ হাজার কোটি ডলার রাজস্ব হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির কাছে মোবাইল যন্ত্রাংশ রফতানিতে কয়েকটি মার্কিন কোম্পানিকে বিশেষ লাইসেন্স দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে ওয়াশিংটন।