২০ লাখ টনের বেশি কোকো উৎপাদন করবে না আইভরি কোস্ট

প্রকাশ: অক্টোবর ১৭, ২০১৯

বণিক বার্তা ডেস্ক

আইভরি কোস্ট বিশ্বের শীর্ষ কোকো উৎপাদনকারী দেশ। খাত থেকে দেশটি প্রতি বছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। আন্তর্জাতিক বাজারে সম্প্রতি কৃষিপণ্যটির সরবরাহ উদ্বৃত্তের কারণে দাম কমতির দিকে রয়েছে। অবস্থায় কোকোর দাম বাড়াতে দেশটি কৌশলগত অবস্থান নিয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ঘানার সঙ্গে সমন্বিতভাবে কোকো উৎপাদন সীমিত করার পরিকল্পনা করেছে দেশটির সরকার। খবর বিজনেস লাইন।

আইভরি কোস্ট সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশটিতে বর্তমানে ২০১৯-২০ কোকো মৌসুম চলছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়াতে আগামী বছর থেকে দেশটি ২০ লাখ টনের বেশি কোকো উৎপাদন করবে না। আগের মৌসুমে দেশটি মোট ২২ লাখ টন কোকো উৎপাদন করেছিল।

বিশ্বের মোট উৎপাদিত কোকোর ৬০ শতাংশ জোগান দেয় আইভরি কোস্ট ঘানা। বাড়তি সরবরাহ রোধের মাধ্যমে দাম বাড়াতে দেশ দুটি পণ্যটির উৎপাদন সীমিত করার পরিকল্পনা করেছে।

আইভরি কোস্টের কফি অ্যান্ড কোকা কাউন্সিলের (সিসিসি) প্রধান ওয়াইভিস ব্রাহিমা বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য উৎপাদন কমিয়ে বাজার স্থিতিশীল রাখা। কারণ খুব বেশি উৎপাদন বাড়লে সরবরাহ বেড়ে যায়। এতে দাম কমে যায়।

সিসিসি এরই মধ্যে অভ্যন্তরীণ বাজারে কোকোর দাম বাড়িয়েছে। ২০১৯-২০ সংগ্রহ মৌসুমে প্রতি কেজি কোকো কিনতে কৃষকদের দিতে হবে ৪২৫ সিএফএ ফ্রাংক (আইভরি কোস্টসহ পশ্চিম আফ্রিকার আটটি স্বাধীন দেশের মুদ্রা) আগের মৌসুমে এর দাম ছিল ৭৫০ সিএফএ ফ্রাংক। এদিকে ঘানার কোকো বোর্ডও কৃষিপণ্যটির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। ২০১৯-২০ মৌসুমে প্রতি কেজি কোকোর দাম হাজার ২৪০ সিডি (স্থানীয় মুদ্রা) করেছে সংস্থাটি। আগের মৌসুমে এর দাম ছিল হাজার ৬০০ সিডি।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫