আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড ও অশুভ রাজনৈতিক সংস্কৃতি

প্রকাশ: অক্টোবর ১৭, ২০১৯

আশেক মাহমুদ

আবরার ফাহাদ বুয়েটের মেধাবী ছাত্র। অক্টোবর রাতে ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় আঘাতে আঘাতে ফাহাদকে মেরে ফেলেছে ২৫ জন মেধাবী ছাত্র। ঘটনায় পুরো দেশ এমনকি বিশ্ববাসী স্তম্ভিত, হতভম্ব। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নং কক্ষ নির্মম অত্যাচার, নিপীড়ন আর খুনের সাক্ষী হয়ে আছে। ফাহাদ নাকি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে, যে স্ট্যাটাসের পরিণতি হলো এই পৈশাচিক খুন। আর তাই ঘটনাকে শুধু খুনের ঘটনা বলাটা সমীচীন নয়। এর পেছনে এক অশুভ রাজনৈতিক সংস্কৃতি আর কলুষিত সামাজিক দীনতার ভয়ংকর চিত্র রয়েছে; আর সেই চিত্রায়ণ করব লেখনীতে।

. ফেসবুকে স্ট্যাটাস: ফেসবুক পোস্টে আবরার লিখেছে, দেশের গ্যাসসম্পদ দিয়ে যেখানে আমাদের কলকারখানাই চলছে না, বরং বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সেখানে আমরা কেন ভারতকে গ্যাস দেব। সে তো কোনো অশ্লীল বা বাজে কথা লেখেনি। একজন মানুষ দেশের নাগরিক হয়ে কি দেশের জন্য কোনো কথা লিখতে পারবে না? দেশের জন্য স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার পেয়েছি তো সেই ৭১ থেকে। আমাদের স্বাধীনতার দাবি এসেছে পাকিস্তানের শাসকশ্রেণীর শোষণের কারণ থেকে। আমাদের সম্পদ তারা লুট করছে বলেই তো আমরা স্বাধীনতা চেয়েছি, আমাদের কথা বলার অধিকার দেয়নি বলেই তো আমরা স্বাধীনতা চেয়েছি। সে কারণেই তো বঙ্গবন্ধু অন্যায় জুলুমের বিরুদ্ধে দেশের জনগণকে রুখে দাঁড়াতে বলেন। এর মানে সেদিন যদি এই আবরার থাকত, সে তো বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিত।

কিন্তু যারা তাকে নির্মমভাবে পেটাল, তারা কি বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিত? নাকি ইয়াহিয়া খানের পক্ষ হয়ে কাজ করত? তাহলে যারা দেশের জন্য লিখবে, তারা কি এই স্বাধীন দেশে ভয়ে, আতঙ্কে থাকবে? পাকিস্তান আমলেও তো যারা দেশের জন্য কথা বলত, তাদের গ্রেফতার করা হতো, শাস্তি দেয়া হতো। অথচ আমরা স্বাধীন দেশ পাওয়ার পর প্রায় ৫০ বছর অতিবাহিত হতে চলল, তবুও যারা দেশকে ভালোবাসে, তাদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ দিতে পারিনি। ব্যর্থতার দায় কে নেবে? আমরা হয়তো বলব, অপরাধীর কোনো দল নেই। তাহলে ধরনের অপরাধীর ক্ষমতায়ন কী করে হচ্ছে, তা কি দেখার প্রয়োজন নেই? বিষয়টি শুধু এটা নয় যে সন্ত্রাসীরা মেরেছে। মূল কথাই হলো, সন্ত্রাসীরা যেখানে স্বাধীন দেশে ভয়ে, আতঙ্কে থাকবে, সেখানে ওরা কেন

সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫