চলতি বছর বিশ্বজুড়ে মাত্রাতিরিক্ত দাবদাহ বিরাজ করছে। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কৃষিপণ্যের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে আর্জেন্টিনার গম উৎপাদনে। দেশটির মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে বিরাজমান খরায় ২০১৯-২০ বিপণন মৌসুমে (ডিসেম্বর-নভেম্বর) কৃষিপণ্যটির উৎপাদনে মন্দা বজায় থাকতে পারে। উৎপাদন হ্রাসের জেরে এ সময় দেশটি থেকে গমের রফতানি কমে যেতে পারে। খবর প্ল্যাটস।
মার্কিন কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গম রফতানি ও উৎপাদনকারী শীর্ষ দেশের তালিকায় আর্জেন্টিনার অবস্থান যথাক্রমে ষষ্ঠ ও নবম।
আর্জেন্টিনার খাতসংশ্লিষ্ট একজন গবেষক বলেন, ২০১৯-২০ বিপণন মৌসুমে দেশটি ১ কোটি ৪০ লাখ টন থেকে ১ কোটি ৯০ লাখ টন গম উৎপাদন করতে পারে। আগের প্রাক্কলনে এর পরিমাণ ছিল ২ কোটি ১০ লাখ টন।
এছাড়া দেশটির বুয়েন্স আয়ারস গ্রেইন এক্সচেঞ্জ সম্প্রতি ২০১৯-২০ বিপণন মৌসুমে গম উৎপাদনের পূর্বাভাস কমিয়ে ১ কোটি ৯৮ লাখ টনে নামিয়েছে।
এদিকে রোজারিও বোর্ড অব ট্রেড আর্জেন্টিনার গম উৎপাদনের প্রাক্কলন আগের তুলনায় সাড়ে ৭ শতাংশ কমিয়ে দুই কোটি টনে নামিয়ে এনেছে। সংস্থাটির বিশ্লেষক মারিনা বার্লেট্টা বলেন, বৃষ্টিপাতের অভাবে গত বছরের তুলনায় এবার মাটির আর্দ্রতা হ্রাস পেয়েছে ও খরাপ্রবণ এলাকার বিস্তৃতি বেড়েছে। এরই মধ্যে দেশটির প্রধান গম উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোয় ফলন কমে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে এবার আর্জেন্টিনায় গমের আবাদও কমে আসতে পারে বলে জানিয়েছে রোজারিও বোর্ড অব ট্রেড। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী সান্তা ফি, বুয়েন্স আয়ারস ও কর্ডোবা প্রদেশ এখনো বরফাচ্ছাদিত। প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে এসব অঞ্চলে গমের আবাদ কমে যেতে পারে ১০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, আর্জেন্টিনায় উৎপাদিত মোট গমের ৮০ শতাংশের জোগান দেয় এ অঞ্চলটি।
উৎপাদনের পাশাপাশি গম রফতানির প্রাক্কলনও কমিয়েছে দেশটি। আর্জেন্টিনার সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ বিপণন বর্ষে মোট ১ কোটি ১০ লাখ টন গম রফতানি করতে পারে দেশটি, যা আগের প্রাক্কলনের তুলনায় ৩০ লাখ টন কম। চলতি বিপণন
বর্ষের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে ১ কোটি ২ লাখ টন গম রফতানি হয়েছে।
ইউএসডিএর তথ্য অনুযায়ী, দেশটি থেকে এবার মোট ১ কোটি ৪০ লাখ টন গম রফতানি হতে পারে। আর্জেন্টিনা থেকে সবচেয়ে বেশি গম রফতানি হয় ডিসেম্বরে। এর পরের দুই মাস এ ধারা অব্যাহত থাকে।