দারুণ কিছু সম্ভাবনা জাগিয়ে কাতারকে ভয় ধরিয়ে দেয়া বাংলাদেশ গোলের দেখা পায়নি। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের কাছে ০-২ গোলে হারলেও প্রশংসিত হচ্ছে লাল-সবুজরা।
এটি ছিল তিন ম্যাচে কাতারের দ্বিতীয় জয়। আফগানিস্তানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে বাছাই শুরু। পরের ম্যাচে ভারতের সঙ্গে ড্র করে দেশটি। দুই ম্যাচে এটি বাংলাদেশের টানা দ্বিতীয় হার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে লাল-সবুজরা ০-১ গোলে হেরে আসে। ওই ম্যাচেও দারুণ কিছু সুযোগ সৃষ্টি করে তা কাজে লাগানো যায়নি। গতকাল একই আক্ষেপ পোড়াচ্ছে স্বাগতিকদের।
এ জয়ে ‘ই’ গ্রুপের শীর্ষস্থান মজবুত করল কাতার। তিন ম্যাচে দেশটির সংগ্রহ ৭ পয়েন্ট। ওমান ও আফগানিস্তানের সংগ্রহ সমান, ৩ পয়েন্ট করে। আফগানরা অবশ্য এক ম্যাচ বেশি খেলেছে। এক পয়েন্ট সংগ্রহ করা ভারত পাঁচ দলের গ্রুপে চতুর্থ স্থানে আছে। বাংলাদেশ আছে তলানিতে।
গতকাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ৯ মিনিটে রায়হানের লম্বা থ্রো-ইন বক্সে প্রতিহত হওয়ার পর জামাল ভূঁইয়ার জোরালো শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ২৪ মিনিটে সালেম আল হাজরির ভুল পাসে সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। গোলমুখে মোহাম্মদ ইব্রাহিম বল ধরার আগেই এক ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করে বিপদ সামাল দেন। ম্যাচের ২৮ মিনিটে বাংলাদেশের রক্ষণের ভুলে এগিয়ে যায় কাতার। ডান দিক থেকে আসা বলে প্রতিপক্ষ দলের একজনের ড্যামি গোলরক্ষক আশরাফুল রানাকে বিভ্রান্ত করে; পরবর্তী সময়ে ইউসুফ আবদুরিসাগ দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠান (১-০)। পিছিয়ে থেকে মাঝ বিরতিতে গেলেও প্রথমার্ধে সুযোগ সৃষ্টি করার দিক থেকে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশই।
অতিথি দল বলের দখল রেখে খেলছিল শুরু থেকেই। আক্রমণ রুখে দ্রুত পাল্টা আক্রমণে যাওয়া লাল-সবুজরা নিয়মিতই সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ভারী মাঠ ও দুই উইংয়ের মন্থর গতির কারণে প্রাপ্ত সুযোগগুলো কাজে লাগানো যায়নি। বিপরীতে গোল ছাড়া বাংলাদেশ রক্ষণকে খুব একটা পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি এশিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমার্ধে বাংলাদেশের সেরা সুযোগ এসেছিল ৪৩ মিনিটে। এ সময় এক আক্রমণ থেকে গোলের নিশানায় দুটি জোরালো শট নিয়েছিল স্বাগতিকরা। জটলার মধ্য থেকে প্রথমে ইব্রাহিমের শট ফিরিয়ে দেন কাতার গোলরক্ষক সাদ আল শিব। পরে ইয়াসিন খানের প্রচেষ্টা গোললাইন থেকে প্রতিহত হয়। ফিরতি বলে রিয়াদুল হাসানের শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন এক