অপর্যাপ্ত ভেনিজুয়েলার জ্বালানি তেল রফতানি মজুদ নিয়ে শঙ্কা

প্রকাশ: অক্টোবর ০৮, ২০১৯

বণিক বার্তা ডেস্ক

গত আগস্টে ভেনিজুয়েলার জ্বালানি তেল রফতানি কমে চলতি বছরের সর্বনিম্নে চলে আসে। সেপ্টেম্বরে সে তুলনায় কিছুটা বাড়লেও তা দেশটির ক্রমাগত বাড়তি মজুদ রোধে যথেষ্ট নয়। ফলে দেশটি জ্বালানি পণ্যটির উত্তোলন কমাতে বাধ্য হচ্ছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান রেফিনিটিভ একন ও ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রীয় জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি পিডিভিএসএ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্স।

রাজনৈতিক বিষয়কে কেন্দ্র করে ২০১৭ সালে ভেনিজুয়েলার ওপর প্রথমবারের মতো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। আগস্টে ওয়াশিংটন এ ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দেয় এবং বাণিজ্য চলমান রাখায় কিউবা এবং চীনের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়। ফলে দেশটির জ্বালানি তেল রফতানিতে ধস নামে।

তবে ভেনিজুয়েলা থেকে কয়েকটি দেশ স্বল্প মাত্রায় জ্বালানি তেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে। পিডিভিএসএ ও এর যৌথ সংগঠনগুলো সেপ্টেম্বরে দৈনিক গড়ে ৮ লাখ ৪৫ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি করেছে, যা এ বছরের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন মাসভিত্তিক রফতানি। আগের মাসে দৈনিক গড়ে ৭ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল রফতানি করেছিল। 

এদিকে ভেনিজুয়েলায় উত্তোলন কমানোর পরও রফতানি না হওয়া জ্বালানি তেলের মজুদ দিন দিন বেড়েই চলছে। গোয়েন্দা সংস্থা কিপলারের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে দেশটির অপরিশোধিত জ্বালানি তেল মজুদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৮৮ লাখ ব্যারেল, যা আগের মাসের তুলনায় ৩০ লাখ ব্যারেল বেশি। দেশটির সর্বোচ্চ মজুদ ক্ষমতা রয়েছে সাড়ে ৬ কোটি ব্যারেল। তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অনেকগুলো ট্যাংক নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫