তিউনিসিয়ার সংসদ নির্বাচনে গতকাল ভোট গ্রহণ হয়েছে। নির্বাচনে দেশটির ভেঙে পড়া অর্থনৈতিক সমস্যা ভোটারদের মধ্যে গুরুত্ব পাচ্ছে। খবর রয়টার্স।
দেশটির রাজধানী তিউনিসের একটি
ভোটকেন্দ্রে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটারদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। আট বছর আগে
গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেখানে স্বৈরশাসকের উচ্ছেদ ও গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, দেশটির গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ওই অঞ্চলে শুরু হয়েছিল ‘আরব
বসন্ত’।
স্বৈরশাসকদের উচ্ছেদের পর পুরনো
অসাম্প্রদায়িক এলিট ও দীর্ঘদিন ধরে নিষিদ্ধ ইসলামী দল এন্নাহদা পার্টির যৌথ সরকার
জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষত দেশটির অর্থনীতি ও সরকারি সেবা খাতের
চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ভোটারদের বড় একটা অংশের আস্থা হারিয়েছে ওই দুই পার্টি।
এদিকে দেশটির বর্তমান জাতীয়
বেকারত্বের হার ১৫ শতাংশ। তবে কোনো কোনো শহরে তা ৩০ শতাংশ। সব মিলিয়ে দেশটির
বেকারত্বের হার সাবেক স্বৈরশাসক জায়ন আল-আবেদিন বেন আলির আমলের চেয়ে বেশি। অন্যদিকে, গত
বছর ৭ দশমিক ৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতি নিয়ে দেশটি রেকর্ড করেছে। চলতি বছরে এখনো পর্যন্ত
দেশটির মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।
বিপ্লবোত্তর জনআকাঙ্ক্ষা নিয়ে
তিউনিসের মিউনিসিপ্যালিটির কর্মী বেসমা যোগবি বলেন, বিপ্লবের পর আমাদের ইতিবাচক মনোভাব, আশা-আকাঙ্ক্ষা অনেক
বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান শাসকদের ব্যর্থতায় আমরা দারুণ আশাহত। অর্থনীতিতে
তারা রীতিমতো বিপর্যয় তৈরি করেছে।