মারকিউরিজ তাইওয়ান মাস্টার্সে উন্নতির ধারাতেই রয়েছেন সিদ্দিকুর রহমান। টানা তিন রাউন্ডে উন্নতি করা বাংলাদেশী গলফ আইকন শিরোপার সুবাসও পাচ্ছেন!
তাইওয়ান গলফ ও কান্ট্রি ক্লাবে তৃতীয় রাউন্ড শেষে যৌথভাবে চতুর্থ স্থানে আছে দুটি এশিয়ান ট্যুরজয়ী এ গলফার; যেখানে তার সঙ্গী ভারতীয় তরুণ গলফার ভিরাজ মাদাপ্পা। শীর্ষে থাকা ফিলিপাইনের মিগুয়েল তাবুয়েনার চেয়ে মাত্র দুই শট পেছনে আছেন সিদ্দিকুর। তিন রাউন্ডের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে শিরোপাও হাতে তুলতে পারেন এ গলফার!
৯ লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কারের আসরে তিন রাউন্ডের সম্মিলিত স্কোরে পারের চেয়ে সাত শট কম খেলেছেন সিদ্দিকুর। ৩৪ বছর বয়সী এ গলফার তাইওয়ান মাস্টার্সে সবচেয়ে ভালো সময় কাটিয়েছেন গতকালই। এদিন পারের চেয়ে চার শট কম খেলেছেন প্রথম বাংলাদেশী অ্যাথলিট হিসেবে সরাসরি অলিম্পিক খেলার যোগ্যতা অর্জন করা সিদ্দিকুর। প্রথম রাউন্ডে পারের চেয়ে দুই শট কম খেলেন ২০০৭ সালে পেশাদার সার্কিটে পা রাখা এ গলফার; ওই রাউন্ড শেষে তার অবস্থান ছিল যৌথভাবে অষ্টম। দ্বিতীয় রাউন্ডে পারের চেয়ে এক শট কম খেলেন তিনি। দুই রাউন্ডের সম্মিলিত স্কোরে পারের চেয়ে তিন শট কম খেলে যৌথভাবে ষষ্ঠ স্থানে ছিলেন ক্যাডি থেকে এশিয়ার সেরা মঞ্চে উঠে আসা এ গলফার।
চতুর্দশ হোল বাদ দিলে সিদ্দিকুরের তৃতীয় রাউন্ডটা ছিল নিখুঁত! যদিও শুরুটা ছিল সাদামাটাই। পারের সমান শট খেলে টানা সাত হোল সম্পন্ন করেন প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এশিয়ান ট্যুর মুকুট পরা এ গলফার। অষ্টম হোলে প্রথম বার্ডি করেন। একাদশ হোলে গিয়ে করেন রাউন্ডের দ্বিতীয় বার্ডি। পরবর্তী দুই হোল পারের সমান শটে শেষ করার পর রাউন্ডের প্রথম এবং একমাত্র বোগি করেন সিদ্দিকুর। তা না হলে দিনটা আরো মধুর হতে পারত এ গলফারের। সেক্ষেত্রে থাইল্যান্ডের সুরাদিত ইয়নচারোয়েনচাইয়ের সঙ্গে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে থেকে শেষ রাউন্ড শুরু করতে পারতেন সিদ্দিকুর।
দিনের একমাত্র বোগি করার পর ১৫ থেকে ১৭—টানা তিন হোলে বার্ডি করে ঘাটতি পুষিয়ে নিয়েছেন ২০১০ ও ২০১৩ সালে দুটি এশিয়ান ট্যুর জয় করা এ গলফার। তৃতীয় রাউন্ডের শেষ হোল সম্পন্ন করেন পারের সমান শট খেলে। যৌথভাবে চতুর্থ স্থান থেকে আজ কি পারবেন অর্ধযুগের বন্ধ্যত্ব ঘুচিয়ে আরেকবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে?
উত্তরটা সময়ই দেবে। তার আগে সিদ্দিকুরের সাম্প্রতিক নৈপুণ্যে কিন্তু আশাবাদী হওয়া যাচ্ছে না!