স্বপ্নময় সৌন্দর্যের আমিয়খুম

প্রকাশ: অক্টোবর ০৪, ২০১৯

মো. জাভেদ হাকিম

প্রপাতের পাথুরে পাহাড় এমনভাবে খাঁজকাটা, যেন মনে হয় কোনো ডিজাইনার বেশ যত্ন নিয়ে এর সৌন্দর্যের ব্যাপ্তি ঘটিয়েছেন। প্রকৃতির খেয়ালে পানি পড়ার দৃশ্য বর্ণনাতীত। হূদয় ছোঁয়া প্রপাতের ছন্দময় শব্দ ভ্রমণের সব ক্লান্তি দূর করে দেয় নিমেষেই। এত সুন্দর জলপ্রপাত, অথচ দেশের অনেকেই তা জানেন না। ছবি দেখালে কেউ বিশ্বাসই করতে চাইবে না যে এটা আমাদের গর্ব বান্দরবানের একটি অংশ

খুম খুম খুম আমিয়খুম। এটি একটি আদিবাসী শব্দ। দেশকে যারা ভালোবাসেন, দেশের উন্নয়ন নিয়ে যারা চিন্তা করেন, বিদেশ ভ্রমণের চেয়ে মাতৃভূমির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনুসন্ধানে আগ্রহী থাকেন, তাদের জন্য আমিয়খুম অনন্য নিদর্শন। এক পরিচিতজনের মাধ্যমে আমিয়খুমের সৌন্দর্যের বর্ণনা যখন জানতে পারি, সেই থেকেই শুরু আমিয়খুম যাওয়ার প্রস্তুতি। বান্দরবান বলতে অনেকেই মনে করেন, দু-চারবার সেখানে গেলেই সব প্রাকৃতিক নিদর্শনই বুঝি ঘুরে শেষ করা সম্ভব। রকম ধারণাটা সম্পূর্ণ ভুল, বান্দরবান এমন একটি জেলা, যার পরতে পরতে ধারণ করা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে যেতে হবে কম করে হলেও শতবার।

দে-ছুট ভ্রমণ সংঘের এবারের অভিযান ছিল বান্দরবানের দুর্গম অঞ্চলের প্রকৃতি মানুষ। যত বেশি দুর্গম অঞ্চলে যাওয়া যাবে, ততই মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকা যাবে। আরো বেশি পাহাড়ি মানুষের যাপিত জীবন সম্পর্কে নতুন ধারণা নেয়া যাবে। পাঁচ বন্ধু মিলে এবার তিন রাত, দুদিন পার করে গিয়েছিলাম অবিশ্বাস্য সৌন্দর্যের রানী আমিয়খুম। এর মধ্যে যাওয়া ফেরার দিন দুই রাত কাটিয়েছিলাম আদিবাসী ত্রিপুরা অধ্যুষিত যিন্নাপাড়া। রাতে পাড়ার বাসিন্দা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বিলাসের ঘরে আশ্রয় নিয়েছিলাম। সেখানটার নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা সবাই স্কুল-কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। চলনে-বলনে আধুনিক, অথচ পাড়ায় স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই। খোলা আকাশের নিচে ঝোপঝাড়ে প্রকৃতির ডাকের সমাধা করতে হয়। বিষয়টা অত্যন্ত বিচিত্রই বৈকি। শহর থেকে যাওয়া ভ্রমণপিপাসুদের জন্য বেশ

সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫