এ বছর খুুুুলনা জোড়াগেট কোরবানি পশুর হাটে পাঁচদিনে ৭ হাজার ৮০৫টি পশু বিক্রি হয়েছে। এ থেকে হাসিল আদায়ের মাধ্যমে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) আয় হয়েছে ২ কোটি ৮ লাখ টাকা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কেসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) জাহিদ হোসেন।
কেসিসি সূত্রে জানা গেছে, সিটি করপোরেশন পরিচালিত এ হাটে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতারা ভিড় করেছিলেন বেশি। তাই গত বছরের তুলনায় এবার ৭৭৩টি পশু বেশি বিক্রি করা হয়েছে। অন্যদিকে হাসিল আদায় বেড়েছে ৪২ লাখ ৭৪ হাজার ৭৪ টাকা।
কেসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) জাহিদ হোসেন জানান, ৬ আগস্ট বিকাল ৫টা থেকে এ হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা শুরু হয়। ১২ আগস্ট ভোর ৪টা ৫২ মিনিটে এ হাটে বেচাকেনা শেষ করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হাটে ৭ হাজার ৮০৫টি পশু বিক্রি হয়। এর মধ্যে ৬ হাজার ১৪৪টি গরু, ১ হাজার ৬৫৬টি ছাগল ও ৫টি ভেড়া রয়েছে। এ থেকে কেসিসি হাসিল হিসেবে পেয়েছে ২ কোটি ৮ লাখ ৯ হাজার ৯৫৫ টাকা। ২০১৮ সালে হাসিল আদায় হয়েছিল ১ কোটি ৬৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮৮১ টাকা। ওই বছর পশু বিক্রি হয়েছিল ৭ হাজার ৩২টি। এর মধ্যে গরু ৫ হাজার ৩৮২টি ও ছাগল ১ হাজার ৬৪২টি বিক্রি হয়।
উল্লেখ্য, কোরবানির পশু কেনাবেচার জন্য প্রতি বছর নগরীর জোড়াগেট পাইকারি কাঁচাবাজারে পশুর হাট বসায় কেসিসি। আগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাট পরিচালনা করত। ২০০৯ সালে এ হাট থেকে কেসিসির আয় ছিল ৪৭ লাখ টাকা। ২০১১ সাল থেকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হাট পরিচালনার উদ্যোগ নেয় কেসিসি। সেই থেকে এ হাটের মাধ্যমে কোটি টাকার রাজস্ব আয় করছে কেসিসি।