ফোয়াদ নাসের বাবু। ফিডব্যাক ব্যান্ডের অন্যতম অংশীদার। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি ফিডব্যাকের সঙ্গী হয়ে এগিয়ে চলেছেন সামনের দিকে। চার দশকেরও বেশি পুরনো এ ব্যান্ড তার পথচলায় যোগ করেছে অসংখ্য গল্প, অভিজ্ঞতা। টকিজের মুখোমুখি সে জায়গা থেকেই ফোয়াদ নাসের বাবু বলেন সমসাময়িক গান, ব্যান্ড নিয়ে তার পর্যবেক্ষণের কথা। সেই সঙ্গে জানিয়ে রাখলেন এবার যেভাবে ঈদে হাজির থাকবেন ভক্তদের সামনে, সে বিষয়েও—
আসন্ন ঈদে শ্রোতাদের উদ্দেশে ফিডব্যাক ব্যান্ডের পক্ষ থেকে নতুন কোনো উপহার থাকছে কি?
বড় করে ঘোষণা দেয়ার মতো তেমন কোনো আয়োজন এ বছর রাখতে পারছি না। তবে একটি নতুন গান ও একটি মিউজিক ভিডিও প্রকাশের জন্য কাজ করছি। এছাড়া ঈদের সময়টায় কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে হাজির থাকব আমরা।
গান কীভাবে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন?
এখন আর আগের মতো অ্যালবামের চল নেই। ইচ্ছা সত্ত্বেও তাই ওভাবে গান প্রকাশ করতে পারছি না। যেহেতু অনলাইন ইউটিউবের দিকে সবার বেশি ঝোঁক, সেহেতু ওখানেই গান ও এর মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করতে পারি।
সময়ের সঙ্গে তাল মেলানোর চেষ্টা আর কি...
সত্যি বলতে কি, দর্শক কোথায় কীভাবে গান শুনছে, সে বিষয়ে শতভাগ স্পষ্ট ধারণা আমাদের কারো নেই। কোনো গান প্রকাশের পর তা কতদিন কীভাবে চলছে, কারা শুনছে তা-ও বোঝা মুশকিল। শুধু বোঝা যায়, অনেক সময় গান বা ভিডিওর ভিউস লাইকের সংখ্যা এক কোটি দুই কোটি ছাড়িয়ে যায়। এত মানুষ যদি দেখেই থাকে, তাহলে গানটা কয়েক দিন পর যাচ্ছে কোথায়? এটাই আসলে বড় ধরনের রহস্য। আবার যে গানের ভিডিও করা হয়, দেখা যায় সে গানের চেয়ে ভিডিওর লাইক বেশি, এটাওবা কেমন কথা। অথচ আমরা যখন গান শুরু করি, তখন ভিডিওর কোনো বালাই ছিল না। কিন্তু তারপরও অসংখ্য দর্শক আমাদের ব্যান্ডের গান শুনেছে। এগুলো নিয়ে সত্যিই এখন গবেষণার সময় এসে গেছে।
এ বিষয়গুলো গানচর্চার ক্ষেত্রে কি খুব বেশি প্রভাব রাখছে?
অবশ্যই। খেয়াল করে দেখুন, এখন বেশির ভাগ শিল্পীই মূলত লাইভ ফর্মে পারফরম্যান্স করে। নানা উপায়ে ভঙ্গিতে আমরা এ লাইভ চর্চা করছি, উপার্জনও করছি। এর বাইরে তো আমি আর কিছু দেখছি না।