সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় আইন চায় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি

প্রকাশ: আগস্ট ০৩, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর প্রসঙ্গ তুলে ধরে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরে সংগঠনটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির এ দাবি জানান।

শাহরিয়ার কবির বলেন, ইউনিফর্ম না পরে স্কুলে আসায় মিরপুরের আলীমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ২৪ জুলাই সতর্ক করা হলে তার পরিবারের সদস্যরা এসে প্রধান শিক্ষক রমেশ কান্তি ঘোষের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং তার কক্ষে ভাংচুর চালান। পরে ছাত্রীর ভাই রাকিবুল হাসান ফেসবুকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে লেখেন—প্রধান শিক্ষক বলেছেন ‘হিজাব-বোরখা পরে স্কুলে যাওয়া যাবে না। এ নিয়ে উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ করে, যার তদন্ত চলছে।

ফেসবুকে মিথ্যা সাম্প্রদায়িক বক্তব্য ছড়িয়ে দিয়ে হিন্দু পাড়ায় হামলার ঘটনার ভুক্তভোগী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রসরাজ দাস ও সঞ্জু বর্মণকে সংবাদ সম্মেলনে হাজির করে নির্মূল কমিটি।

সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে শাহরিয়ার কবির বলেন, আমাদের দেশে ধর্মীয় বা জাতিগত কারণে সংখ্যালঘু হওয়ার জন্য কেউ লাঞ্ছনা বা নির্যাতনের শিকার হবেন, এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এজন্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য আইন করাটা অতি জরুরি প্রয়োজন।

নিজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপব্যবহারের শিকার হওয়ার দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে নির্মূল কমিটির সহসভাপতি অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বলেন, আমি সরকারকে বলব, ফেসবুক একটি মাধ্যম হয়ে দাঁড়াচ্ছে, যে মাধ্যম আমাদের ঘৃণা-দাঙ্গাতে প্ররোচনা দেয়, তাহলে সেই মাধ্যম না থাকলে কী অসুবিধা হবে, সেটা আমি বুঝতে পারছি না।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫