সংখ্যাগত উল্লম্ফন নয় চাই মানসম্পন্ন শিক্ষা

প্রকাশ: আগস্ট ০৩, ২০১৯

এম আর খায়রুল উমাম

সরকার উচ্চশিক্ষার পথ সুগম করতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমতি দিয়েছে, যার অধিকাংশই রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদনপ্রাপ্ত। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মালিক রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তারা নিজেদের ইচ্ছামতো পরিচালনা করছেন। সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই বললেই চলে। তদুপরি আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ নিষ্ক্রিয় থাকার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষাকে পণ্য বিবেচনা করে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন নতুন বিভাগ খুলছে, শিক্ষার্থী ভর্তি করছে এবং এমনকি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সমাবর্তন করছে। সরকারি নির্দেশনা না মানলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসবের অনুমোদন দিয়েই চলেছে। অবস্থাদৃষ্টে বলাই যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কারো মধ্যে সরকারি নির্দেশ বাস্তবায়নের কোনো তাগিদ নেই। সাধারণ মানুষ শুধু দেখে মাঝেমধ্যে ধমকের বক্তৃতা-বিবৃতি। আজ সিংহভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসের ব্যবস্থা করেনি। সরকারি সময়সীমা অনেক আগে পার হয়ে গেলেও এ বিষয়ে কারো কোনো রা নেই। উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ছাড়া এবং পূর্ণকালীন শিক্ষক ও খণ্ডকালীন শিক্ষকের অনুপাত না মেনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হয়ে আসছে দিনের পর দিন। দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট একটি অংশকে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ প্রদানের নামে জালিয়াতির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নিয়ম মেনে অডিট রিপোর্ট পর্যন্ত প্রকাশ করে না বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। সরকারদলীয় ব্যক্তিদের অন্যায় সুবিধা দিতে গিয়ে পুরো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা আজ প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে। সরকার মানসম্মত শিক্ষার কথা বলে ইথার ভারী করলেও অন্যায়কে প্রশ্রয় দান করে কোনোভাবে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা আগেও সম্ভব হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।

বাংলাদেশে একটা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে এক বিঘা জমি বিদ্যালয়ের নামে থাকতে হয়। এটা না হলে কোনো বিদ্যালয়কে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয়া হয় না। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনাই যথেষ্ট। সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস করার জন্য একাধিকবার নির্দেশনা দিয়েছে। এক সময়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস পরিচালনার জন্য চূড়ান্ত সময়সীমা পর্যন্ত বেঁধে দিয়েছে। সেই সময়সীমাও কয়েক বছর আগে পার হয়ে গেছে। এখনো সিংহভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস না করেও খুব ভালোভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বলে শোনা যায়নি। হয়তো কিছুদিন পর আবারো নতুন করে সময়সীমা ঘোষণা করা হবে। একটু দৃষ্টি দিলেই দেখা যায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মালিকানায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ বর্তমান সংসদের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা আছেন। ফলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ প্রচণ্ড প্রভাবশালী এসব ব্যক্তির প্রতি আনুকূল্য প্রদর্শন করে নিজেদের পদ-পদবি রক্ষা করতেই বেশি ব্যস্ত থাকছে। এখন দেশ ও জাতির সেবা করার চেয়ে ব্যক্তি বা দলের সেবা গুরুত্বপূর্ণ। তাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে গেল কি গেল না, তাতে কর্তৃপক্ষের কিছু এসে যায় না; বরং চাপ সৃষ্টি না করে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সেবা করতে পারলে তা নিজেদের ভাগ্য গড়তে কতটুকু সহায়ক ভূমিকা পালন করবে—এ নিয়ে ভাবাই বাঞ্ছনীয়। বিপরীতে শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিধা হচ্ছে, শিক্ষার মান যা-ই হোক, সনদ পেতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। বহুতল ভবনের একটা তলার মধ্যে ঘুরেফিরেই কাজ শেষ। এ এক অদ্ভুত বিষয়! একটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য এক বিঘা জায়গা লাগলেও বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য একটি ভবনের একটি তলাই যথেষ্ট। দলীয় ব্যক্তিদের সুবিধা দিতে গিয়ে সরকার শিক্ষাকে সাধারণ জনগণের কাছে পণ্য হিসেবে ব্যবহারের হাতিয়ার করে দিয়েছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকাই একমাত্র সমস্যা নয়। সমস্যা আছে শিক্ষকেরও। যদিও পূর্ণকালীন শিক্ষক ও খণ্ডকালীন শিক্ষকের অনুপাত না মানলেও কিছু যায় আসে না। বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনুগ্রহ ও লোভের কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় কোনো সমস্যা হয়তো হচ্ছে না, কিন্তু খণ্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা সম্ভব না হওয়ার ফলে চার-পাঁচটা বাদে সব বিশ্ববিদ্যালয়ই আজ সনদ বিক্রির প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। একদিকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের স্বপ্ন নিয়ে সাধারণ মানুষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রচারণায় বিভ্রান্ত হয়ে দলে দলে সেখানে ভিড় জমাচ্ছে, অন্যদিকে বাজার চাহিদার বাণিজ্যিক শিক্ষা পরিচালনায় সরকারের অনুমতি পেতে কোনো অসুবিধা না হওয়া এবং সরকারি নির্দেশ পালন না করলেও কোর্স পরিচালনার অনুমতি পেতে সমস্যা না হওয়ায় আজ শিক্ষাকে পণ্য বানিয়ে ঠিকই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পূর্ণ করছে কিছু সুবিধাপ্রাপ্ত মানুষ। কিন্তু সরস্বতী পালিয়েছে। মানবিক মানুষ সৃষ্টির শিক্ষা হারিয়ে গেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় মানবিক শিক্ষাকে অবজ্ঞা করার কারণে আমাদের রসাতল যাত্রা গতি পাচ্ছে। সারা দেশে সবাই মানসম্মত শিক্ষার জন্য দাবি জানাচ্ছে। আর সরকার শিক্ষার উন্নয়নে আশু সমস্যার আশু সমাধান দিয়ে কাজ চালিয়ে নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের করা প্রতিবেদনে ২০১৯ সালের র্যাংকিংয়ে দেশসেরা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ার ১২৭ নম্বরে এবং বুয়েট ১৭৫ নম্বরে আছে। গত বছরের চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তিন ধাপ পিছিয়েছে এবং বুয়েট পিছিয়েছে ৪০ ধাপ। আমাদের শ্রেষ্ঠ দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা যদি এই হয়, তাহলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা সহজেই অনুমেয়। তাই শিক্ষার মান নিয়ে যত কম কথা বলা যায় ততই মঙ্গল।

দেশের কোনো মানবসম্পদ পরিকল্পনা না থাকার কারণে সাধারণ মানুষ জানে না জনশক্তি তৈরির রূপটা কেমন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির প্রাক্কালেও সরকার মানবসম্পদ পরিকল্পনা গ্রহণে আগ্রহী নয়; বরং এর অভাব সর্বত্র প্রকট। জনগণও জানে না তাদের কতজন শিক্ষক, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, কৃষিবিদ, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ সব ধরনের পেশাজীবী প্রয়োজন। জানে না কতজন বিদেশে শ্রম বিক্রি করতে যাবে। সরকারও এ সুবিধার বাইরে আসতে চায় না। কারণ কোন শিক্ষায় কতজন দরকার, তা না জানার কারণে যে যা চায়, তাকেই অনুমতি দিয়ে দেয়া সহজ হয়। অনুকরণপ্রিয় বাঙালির আরো এক অনুকরণ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ সুযোগই নিচ্ছে প্রতিনিয়ত। দেশ ও জাতির প্রয়োজন নির্ধারিত না থাকার কারণে আজ বলতে পারা কষ্টদায়ক যে উন্নত অনেক দেশের চেয়ে উচ্চশিক্ষায় আমরা বেশি শিক্ষার্থী পাঠাচ্ছি কিনা? জনগণ শুধু দেখছে গত ১০ বছরে দেশে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টি করা হয়েছে। সরকার মাঝেমধ্যেই নিজেদের আশীর্বাদপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় করার সুবিধা হলো, এখানে লাভ হয় বেশি কিন্তু ঝামেলা কম। আর ব্যবসায়ীদের মূল টার্গেট লাভ হওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বেকার তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে। মানবিক শিক্ষার উপেক্ষা শিক্ষার্থীদের সুজন করতে পারছে না। পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের কোনো আশার আলো দেখাতে পারছে না; বরং ব্ল্যাক হোলে ফেলে দিচ্ছে। এখনই শক্ত হাতে রাশ  টেনে না ধরা হলে সার্বিক পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে যে থামবে, তা অনুমানও করা যাচ্ছে না। মানবসম্পদ পরিকল্পনা করে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো প্রয়োজন। তা না হলে জণগণ অচিরেই দেখবে দলীয় ব্যক্তিদের চাহিদা মেটাতে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমতি মিলছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে মনে করা হলেও সবগুলো কাঙ্ক্ষিত লাভের মুখ দেখেনি। ব্যবসায় লাভ না হলে নীতি-নৈতিকতা রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রেও তা-ই হচ্ছে। প্রয়োজনের অধিক সংখ্যায় অনুমোদন পাওয়ার কারণে অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়েছে। কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক সামর্থ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়ে সরকারের কোনো আদেশ প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষা করতে পারছে না। শিক্ষার মান রক্ষা করতে পারছে না। শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম যোগ্য করে তুলতে পারছে না। শুধু সনদ পাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। কিন্তু এ সনদও প্রাপ্য সম্মান পাওয়ার পরিবেশ তৈরিতে ব্যর্থ। ফলে অল্প কিছু বিশ্ববিদ্যালয় বাদে বাকিরা সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে। এখন তো আবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রাজধানীর বাইরে এসে জেলা সদর পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এগুলোর কথা যত কম বলা যায় ততই ভালো। দেশে ব্যবসা করার অনেক ক্ষেত্র আছে। কিছুদিন আগেই পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে যে ১৫ দিনের মধ্যে শেয়ারবাজার থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। সরকার তার দলীয় সমর্থকদের ভাগ্য ফেরাতে চাইলে এমন সব ক্ষেত্রে নিয়োজিত করতে পারে। ব্যবসার ক্ষেত্র হিসেবে শিক্ষাকে মুক্তি দেয়া খুবই জরুরি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে চাইলে ন্যূনতম যোগ্যতা রক্ষার বিষয়ে কঠোর হওয়া কালের দাবি। এটা শুধু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে নয়, কারিগরি জনশক্তি তৈরির নামে যা চলছে, তাও মূল্যায়ন ও তদারক করা জরুরি হয়ে পড়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ প্রভাবশালীদের ভয়ে দায়িত্বে অবহেলা করছে। বিষয়টি দুর্নীতি বিবেচনায় শাস্তির ব্যবস্থা করা হলে জাতি উপকৃত হবে।

মহাজোট সরকার অনেক বিষয়ে আমাদের বিশ্বের রোল মডেল করেছে। প্রতিনিয়ত সরকারের পক্ষে সবাই মিলে প্রচারণা চালাচ্ছে যে কোথায় কোথায় আমরা বিশ্বের রোল মডেল হয়ে গিয়েছি। সাধারণ জনগণ চায় শিক্ষা ক্ষেত্রেও আমরা যেন এমন হতে পারি। সরকার বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় করে এক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জনের নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। শিক্ষা ব্যয়ের বড় অংশ উচ্চশিক্ষায় ব্যয় হচ্ছে। প্রতি বছর শতাংশ হারে শিক্ষা বাজেট কমলেও, গবেষণা কার্যক্রমকে নির্বাসনে পাঠালেও, আমাদের উচ্চশিক্ষার কদর বিদেশে কমলেও সরকার তার পথে নির্বিকার। দলীয় পেশাজীবীদের নিয়ে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছে। আর পদ-পদবিসহ নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে সারা জীবনের অর্জনকে পেছনে রেখে সরকারি এজেন্ডা বাস্তবায়নে দলীয় পেশাজীবীরাও অবিচল। শিক্ষা আইন আজ সূর্যের মুখ দেখল না। কিন্তু শিক্ষানীতির ব্যবসায়ীর অংশ বাস্তবায়নে সবাই একাট্টা। ক্ষমতাবানরা একত্রে জনগণের জন্য ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে রেখেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে এমন অবস্থা কাম্য ছিল না। দেশের জনগণকে জনসম্পদে পরিণত করতে হলে মধ্যম শ্রেণীর কারিগরি জনশক্তিই মূল নিয়ামক। ক্ষমতার বলয় তা স্বীকার করলেও অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করে না। উচ্চশিক্ষার অধিকার বা সুযোগ সবার। তবে অবশ্যই তা মেধা দিয়ে, যোগ্যতা দিয়ে অর্জন করতে হবে। বিশ্বাস করি, আমাদের যতগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে, সেখানে সব বিষয় পড়ানোর ব্যবস্থা নিয়ে বিশ্বজনীন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংজ্ঞার প্রতি সম্মান করে এটিকে যদি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা যায়, তবে দেশ ও জাতির জন্য কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন হবে না। গুণীজনরা বিষয়টা ভেবে দেখতে পারেন।

 

এম আর খায়রুল উমাম: প্রকৌশলী ও সাবেক সভাপতি 

ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি)


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫