নর্তকী থেকে শাসক

বেগম সামরু

প্রকাশ: ডিসেম্বর ০৫, ২০২৩

এম এ মোমেন

[প্রিয়ঙ্কা বড়পুজারী, ব্রজেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি, অর্চনা গারুদিয়া গুপ্ত ও আয়ুষ্মান চক্রবর্তীর পৃথক ইংরেজি রচনা অবলম্বনে বেগম সামরুর জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরা হচ্ছে, প্রাসঙ্গিক তথ্যাবলি লেখকেরই সংকলন]

‘গার্দি কা ওয়াক্ত’ চলছে। মানে সংকটের সময় চলছে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে ভারতবর্ষের শাসন ব্যবস্থার ধস নেমেছে। সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময় ভারতবর্ষের বিস্তার সর্বোচ্চে পর্যায়ে পৌঁছেছিল।

আওরঙ্গজেব ১৬৮৭ সালে গোলকুণ্ডা অধিকার করলেন। ১৬৮৯ সালে বিজাপুর সালতানাতও তার সাম্রাজ্যভুক্ত হলো। কয়েকটি দুর্গ বাদে মারাঠা অঞ্চলও তার দখলে এল। ১৬৯০ সালে শেষ কার্যকর মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনাধীন ভারতের ভূভাগ ছিল ৪০ লাখ বর্গকিলোমিটার। ১৭০৭ সালে তার মৃত্যুর পর সাম্রাজের সংহতি বিনষ্ট হতে থাকে। অন্তর্দ্বন্দ্ব ও গৃহবিবাদ তুঙ্গে ওঠে। নাদির শাহ ও আহমদ শাহ আবদালির আক্রমণ দিল্লিকে লণ্ডভণ্ড করে দেয়। মোগলদের দুর্বল উত্তরসূরি সম্রাট শাহ আলমের নিয়ন্ত্রণ কেবল দিল্লি থেকে পালাম পর্যন্ত বহাল থাকে। সে সময় এ নিয়ে ছড়াকাটা হয় ‘‌সালতানাত-ই-শাহ আলম, আজ দিল্লি তা পালাম’। সেখানে তার পূর্বসূরিদের সুরক্ষায় নিয়োজিত ছিল লক্ষ সৈন্য। তার সময় সে সংখ্যা কমতে কমতে পাঁচ হাজারে নেমে আসে। কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণের দড়ি ছিড়ে যায়। বিভিন্ন অঞ্চলে চাকরিপ্রাপ্ত মোগল গভর্নররা নিজেদের শাসক ঘোষণা করেন। রাজপুত, মারাঠি ও শিখরা বহু বছর ধরে নিগৃহীত ও শাসিত হওয়ার পর এবার কেন্দ্রীয় দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে নিজ নিজ স্বাধীন ও সার্বভৌম সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। ব্রিটিশ, ফরাসি ও ইউরোপীয়ান বণিকেরা নিজেদের ভূমিকা পরিবর্তন করে অধিকতর লাভ ও সম্মানজনক শাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। ইংরেজ রবার্ট ক্লাইভের সাফল্য বিদেশীদের আরো অনুপ্রাণিত করে। বাংলার দেওয়ানি ও শাসনভার চলে যায় ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে। মার্সেনারি বাহিনী, বিশেষ করে ফরাসিদের একাধিক বাহিনী বিভিন্ন শক্তির সহযোগী হয়ে অস্থিতিশীলতা বাড়িয়ে তোলে। একই সঙ্গে তারা দিল্লির সম্রাট এবং ক্ষমতার দিকে ধাবমান ইংরেজদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।

অস্ট্রিয়ান মার্সিনারি সম্বার

ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানির সামরিক অভিযাত্রীদের একজন জেমস স্কিনার ওয়াল্টার রাইনহার্ট সম্বার প্রসঙ্গে লিখেছেন, শুরুতে তিনি ছিলেন একজন কাঠমিস্ত্রী। ১৭৫০ সালে তিনি ভারতে অবস্থিত ফরাসি সামরিক বাহিনীর একজন সৈনিক ছিলেন। ১৭৬০ সালে তিনি বাংলার নবাব মীর কাশিমের দরবারে হাজির হয়ে তার সমরসেবা প্রদানের অঙ্গীকার করেন। ব্রিটিশ শক্তির ক্রমবর্ধমান বিস্তার এবং বিশেষ করে পাটনায় আধিপত্য নওয়াবকে বিব্রত করছিল। তিনি সম্বারকে পাটনায় ইংরেজ দমনের ইঙ্গিত দেন। তাতে একই সঙ্গে পাটনার পুনরুদ্ধারের কাজটাও হয়ে যাবে।

মার্সেনারি ওয়াল্টার রাইনহার্ট সম্বার তার সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে পাটনা আক্রমণ করেন এবং ১৫০ জন ব্রিটিশকে হত্যা করাসহ ইংরেজ গ্যারিসন ধ্বংস করে ফেলেন। ইংরেজদের কাছে তিনি ‘পাটনার কসাই’ হিসেবে চিহ্নিত হন আর ভারতীয়রা তার নাম বিকৃত উচ্চারণে সামরু বা সোমরু করে নেয়। পাটনা অপারেশনের পর তিনি দ্রুত ব্রিটিশ অধিকৃত এলাকা ছেড়ে উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাংশে অযোধ্যায় চলে যান এবং তার মার্সেনারি কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখেন।

ওয়াল্টার ‘সামরু’-র নতুন অধ্যায়

১৭৬৫ সাল। তার বয়স ৪৫ বছর। এক সন্ধ্যায় একটু আমোদ-ফূর্তি করতে তিনি দিল্লির চাউরিবাজারে খানুম জানের কোঠায় এলেন। মৌজ করতে নারী ও নৃত্য অপরিহার্য। সেখানেই তিনি মোকাবেলা করলেন ১৫ বছর বয়সী মনোহরা কাশ্মীরি তরুণী নর্তকীর। এ তরুণী কোত্থেকে কেমন করে কোঠায় এসেছে তা জানা নেই—কোনো মোগল অভিজাতের সন্তান হতে পারে আবার রাস্তা থেকে কোঠার মালিকের টেনে আনা কোনো কিশোরীও হতে পারে। ব্রজেন্দ্রনাথ ব্যানার্জির ১৯২৫ সালে প্রকাশিত ‘বেগম সামরু’ ইংরেজি গ্রন্থে এ নিয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান রয়েছে। তিনি তরুণীর পিতাকে শনাক্ত করেছেন লুৎফ আলী খান হিসেবে, যিনি আসাদ খান নামেও পরিচিত হয়ে থাকতে পারেন। তিনি মিরাট শহরে বসতি স্থাপন করেন। লুৎফ আলী খানেরই কোনো উপপত্নীর গর্ভে ১৭৫০ বা ১৭৫১ সালে তার জন্ম হয়। ১৭৬০ সালে লুৎফ আলীর মৃত্যু হলে তার পুত্র বাবার উপপত্নী ও তার কন্যাকে বাড়ি থেকে বহিষ্কার করে। রাস্তায় নেমে যাওয়া এ কিশোরীর স্থান হয় দিল্লির বাইজি বাড়িতে। ওয়াল্টার রাইনহার্ট সম্বার মাত্র ৪ ফুট ৮ ইঞ্চি লম্বা মেয়েটির নৃত্য ও প্রণয়ে এতটাই আবিষ্ট হয়ে পড়েন যে তাকে নিজের হারেমে নিয়ে আসেন। সে সময় কেবল ভারতীয় অভিজাতরাই হারেমের অধিশ্বর ছিলেন এমন নয়, ইউরোপীয় ক্ষমতাশালী ও বিত্তবানদের জেনানামহল ছিল। ততদিনে সামরু সাহেব নামে প্রতিষ্ঠিত এ ইউরোপীয়র সঙ্গে ‘‌ফারজানা’ খেতাবপ্রাপ্ত তরুণীর সম্পর্ক আরো গভীর হয়। তার প্রথম ভারতীয় উপপত্নী বড় বিবির গর্ভে একাধিক সন্তান জন্মগ্রহণ করে। ইউরোপীয়দের জন্য জেনানামহলে নারীর সংখ্যা গর্ব করে বলার একটি বিষয়ে পরিণত হয়। দিল্লিতে নিযুক্ত রেসিডেন্ট স্যার ডেভিড অক্ট্যারলোনির ১৩ জন উপপত্নীর কথা কেউ কেউ লিখে গেছেন। প্রতিদিন অপরাহ্ণে হাতির পিঠে চড়ে তারা দিল্লির চাঁদনি চক ঘুরে আসতেন। ফারজানা কেবল সামরু সাহেবের শয্যাসঙ্গিনী হয়ে সন্তুষ্ট থাকলেন না। আগাধ কৌতূহল ও জ্ঞানতৃষ্ণা নিয়ে সমরবিদ্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিজেকে দক্ষ করে তুললেন। ততদিনে তার সুনাম ও সুকৃতির সংবাদ সম্রাট শাহ আলম পর্যন্ত পৌঁছে যায়।

১৭৭৮ সালে সামরু সাহেবের মৃত্যু ঘটলে উত্তরাধিকারের বিরোধ দেখা দেয়। সামরু সাহেব তার প্রাইভেট আর্মি লালন করে এবং মার্সেনারি হিসেবে ক্রমান্বয়ে আনুগত্য বদলে মোগলদের সঙ্গেই যোগ দেন। মেধাবী ফারজানাকে তিনি প্রতিপত্তি বৃদ্ধি ও বন্ধুলাভেও ব্যবহার করেন। ফলে মোগল সাম্রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্রোহী অঞ্চলের প্রধানরাও ফারজানা সম্পর্কে অবগত থাকেন। মূলত তার কর্মকাণ্ডে মুগ্ধ হয়ে বিশেষ করে প্রতিপক্ষ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সামরু সাহেব ও তার ছোট বেগমের কঠোর অবস্থান তাদের জন্য সারধানার (ভারতের উত্তর প্রদেশের মিরাট জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরগনা) জায়গিরদারি এনে দেয়। সে আমলে এ জায়গির থেকে বার্ষিক ৬ লাখ রুপির অধিক রাজস্ব আদায় হতো। সামরু সাহেবের মৃত্যুর পর বড় বিবির গর্ভজাত পুত্র জাফর ইয়ার খান জায়গির তার নামে বরাদ্দের দাবি জানালেও তার অদক্ষতা ও খামখেয়ালিপনা বিবেচনায় এনে মোগল সম্রাট ফারজানাকে জায়গিরদার নিযুক্ত করেন।

সামরু সাহেবের মৃত্যুর পর বেগম সামরু দ্রুত তার প্রাইভেট মার্সেনারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জার্মান সৈনিক পাওলিকে প্রধান সামরিক কর্মকর্তা নিয়োগ করেন। কিন্তু ১৭৮২ সালে একটি লড়াইয়ে মোহাম্মদ বেগ হামদানির হাতে পাওলির শিরশ্ছেদের ঘটনা ঘটে। অন্য একজন উচ্চাভিলাষী সৈনিক বেগম সামরুকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পাওলির পরিণতি দেখে তিনি দ্রুত সারধানা ছেড়ে চলে যান। সেনাধ্যক্ষ হিসেবে তিনি ইউরোপের জোয়ান অব আর্কের সঙ্গে তুলনীয় হতে পারেন। পরগনার শাসনকর্তা হিসেবে তিনি জনগণের বিশেষ প্রিয়ভাজন হয়ে ওঠেন। অভিজাত্যের কৃত্রিম মুখোশ তার ছিল না। তিনি অন্যদেরও মুখোশাবৃত থাকার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান। মুসলমান গৃহে জন্ম হলেও প্রকৃতপক্ষে তার বেড়ে ওঠা এবং অবস্থান অমুসলিম সংস্কৃতিতে। ধর্ম প্রচারে ভারতে ক্যাথলিকরা তাকে আকৃষ্ট করতে সমর্থ হন। ৭ মে ১৭৭৯ সালে তিনি আগ্রার ক্যাথলিক চার্চে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন বরং জোয়ানা নাম গ্রহণ করেন। পুরো নাম জোয়ানা লুইস বালথাজার রাইনহার্ট। 

সারধানা ব্রিগেডে কমিশনপ্রাপ্ত জর্জ থমাস দক্ষতার সঙ্গে সেনাবাহিনী পুনর্গঠন করেন। বিভিন্ন অপারেশনে কৃতিত্ব অর্জন করেন। তার সেনানায়কত্বে এবং ফারজানার উদ্যোগে সম্রাট শাহ আলমকে শত্রু পরিবেষ্টিত অবস্থায় নিশ্চিত মৃত্যু থেকে উদ্ধার করা হয়। বেগম সামরু ফরাসি সৈনিক লেভেসোর প্রতি মোহাবিষ্ট হয়ে তাকে অতিরিক্ত আশকারা দেন। লেভেসো জর্জ থমাসসহ অনেকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে থাকেন। এ পর্যায়ে বেগম সামরুর সবচেয়ে দক্ষ সেনাধ্যক্ষ জর্জ থমাস পদত্যাগ করেন এবং তাকে ছেড়ে দেন। এ ফরাসির ফাঁদে পড়ে বেগম সামরু তাকে বিয়ে করেন। সাধারণ সৈন্যরা এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয় এবং বেগমের প্রতি তাদের আনুগত্য হ্রাস পায়। এর আগে চার হাজার সৈন্যের ব্রিগেড বেগম সামরু অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করেছেন। সারধানার দরবার পরিচালনা করেছেন মাথায় গুরুত্বের পাগড়ি পরে। পাশে থাকত রাজকীয় হুঁকা। তিনি হুঁকাও টানতেন। সম্রাটের দপ্তরে বৈঠকে কিংবা নিজের বাহিনীকে পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি ঘোমটায় ঢাকা থাকেননি। দুবার বেগম সামরুর হস্তক্ষেপে জীবন রক্ষা পাওয়ার পর সম্রাট শাহ আলম তাকে নিজ কন্যার মর্যাদা দিতে শুরু করেন এবং তাকে জেবুননিসা বা নারীদের অলংকার খেতাব প্রদান করেন।

১৭৮৩ সালে শিখ সেনাধ্যক্ষ বাগেল সিং দিল্লি অবরোধ করেন এবং ৩০ হাজার শিখ সৈন্য নিয়ে সিংহাসন দখলের উদ্দেশ্যে তাঁবু খাটান। এটাই ৩০ হাজারি অবরোধ। আতঙ্কগ্রস্ত শাহ আলম প্রমাদ গুনতে শুরু করলেন। এ বাহিনী প্রতিহত করার শক্তি তার নেই। বাগেল সিংহের সঙ্গে সমঝোতার উদ্যোগ নিতে তিনি বেগম সামরুকে দায়িত্ব দিলেন। বেগম তার ব্যক্তিত্ব নিয়ে অল্পতেই শিখ সেনাধ্যক্ষকে বশীভূত করলেন। সিদ্ধান্ত এল দিল্লিতে শিখ ধর্মাবলম্বীদের জন্য আটটি গুরুদুয়ারা নির্মাণের অনুমতি দেয়া হবে এবং কেবল ১৭৮৩ সালের জন্য আহরিত রাজস্বের একটি অংশ তাকে প্রদান করা হবে। ১৭৮৮ সালে রোহিলাপ্রধান গোলাম কাদির দিল্লি অবরোধ করলেন। শক্তিশালী এ আফগান জনগোষ্ঠী উত্তর প্রদেশের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নিয়ন্ত্রণ করত। এটাই রোহিলাখণ্ড নামে পরিচিতি লাভ করে। গোলাম কাদির শৈশবে মোগলদের দ্বারা ধৃত ও নির্যাতনের শিকার হন। তিনি দিল্লি প্রসাদে ঢুকে সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের চক্ষু তুলে ফেলেন বলে কথিত আছে। এ সময় বেগম সামরু তার বাহিনী নিয়ে হাজির হন। সাইকোপ্যাথ হিসেবে পরিচিত গোলাম কাদির হতবুদ্ধি হয়ে পড়েন এবং দ্রুত সসৈন্য দিল্লি থেকে পালিয়ে যান।

দিল্লির সম্রাটের পর্যুদস্ত অবস্থায় ইংরেজদের ক্ষমতা দ্রুত বাড়তে থাকে। বেগম সামরুর পক্ষেও তার রাজত্বও নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাকে ইংরেজদের সঙ্গ আঁতাত করতে হয়। ২৭ জানুয়ারি, ১৮৩৬ সালে বেগম সামরু ৮৫ বছর বয়সে মারা যান। তার বিশাল সম্পত্তির কিছু অংশ স্বামীর পূর্ব বিবাহিতের সন্তানকে প্রদান করেন। বাকিটা চলে যায় ইংরেজের হাতে, স্যার ডেভিড অক্ট্যারলোনির নিয়ন্ত্রণে। শৌর্যে ও বীরত্বে তার সমকক্ষ কোনো নারী সেকালের ভারতবর্ষে ছিল না।

এম এ মোমেন: সাবেক সরকারি কর্মকর্তা


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৮১৮০১৯৩-৪ (বিজ্ঞাপন), ৮১৮০১৯৬-৭ (সার্কুলেশন)

ই-মেইল: [email protected]