ফজলুর রহমান

একজন স্বনির্মিত শিল্পোদ্যোক্তা

ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ

সদ্যপ্রয়াত, এ মুহূর্তে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্প পরিবার সিটি গ্রুপের কর্ণধার, ফজলুর রহমান ছিলেন একজন স্বনির্মিত সফল শিল্পোদ্যোক্তা। এ সহস্রাব্দের শুরু থেকে (২০০০-০১ সালে বিনিয়োগ বোর্ডে এবং ২০০৭-০৯ সালে এনবিআরের চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত থাকার সুবাদে) তার সঙ্গে ছিল আমার সুহৃদ সম্পর্ক। আত্মশক্তিতে বলবান, সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে, আত্মমর্যাবোধে বিশ্বাসী ফজলুর রহমান সাহেবকে পোষক প্রতিষ্ঠানের আনুকূল্য, সুদৃষ্টি কিংবা আনুকূল্য প্রত্যাশায় বসে থাকতে দেখিনি। তিনি আপন মনের তাগিদে, আপন স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিষ্ঠাবান ছিলেন। বিনিয়োগ বোর্ডে আমাদের সহকর্মী আবদুর রাজ্জাক দীর্ঘদিন তাকে পরামর্শ দিয়েছেন, বেজার চেয়ারম্যান পদ থেকে অবসরে যাওয়ার পর আমাদের কর্মনিষ্ঠ আত্মিক সহকর্মী পবন চৌধুরী স্বেচ্ছায় ফজলুল রহমান সাহেবের প্রকৃতিবান্ধব শিল্পোদ্যোগকে উৎসাহিত করতে তার প্রতিষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দিয়েছেন। পাবলিক সেক্টরে পোষক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদ থেকে দেশের শিল্পায়নে প্রাইভেট সেক্টরের সৃজনশীল কাজে চৌধুরীর এ যোগদান অবশ্যই একটি অনুসরণীয় পদক্ষেপ মনে হয়েছে। ফজলুর রহমান সাহেব এভাবেই পাবলিক প্রাইভেট সেক্টরের মেলবন্ধন ও মিথস্ক্রিয়ার সুযোগ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়েছেন। আর ১০ জনের মতো এনবিআরের কাছে শুল্ক ও কর সুবিধা চাওয়া-পাওয়া নিয়ে তেমন কোনো দাবি-দাওয়ার পক্ষপাতী তিনি ছিলেন না। তার এবং তার শিল্প পরিবারের সঙ্গে বেজা, এনবিআর কিংবা ব্যাংকগুলোর সঙ্গে অতি মাখামাখির ঘটনা শুনিনি।

স্বাধীনতার ৫৩ বছরে বাংলাদেশের অনেক অর্জনের মধ্যে একটি দেশীয় উদ্যোক্তা শ্রেণী গড়ে ওঠা। এ উদ্যোক্তাদের কারো কারো পারিবারিক ব্যবসার ঐতিহ্য ছিল। কারো কারো ব্যবসা শুরুর মতো মূলধন ছিল। বিপরীতে কারো কারো অর্থকড়ি, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা—কিছুই ছিল না। দেশের যেসব উদ্যোক্তা সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা, উদ্যোগ ও মানুষের কাছ থেকে শিখে শূন্য থেকে বড় শিল্পোদ্যোক্তায় পরিণত হয়েছেন, দেশের শিল্পায়নের ভিত তৈরি করেছেন, মানুষের কাজের ব্যবস্থা করেছেন, তাদের একজন সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান (৬ মে ১৯৩৭ থেকে ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩)। ১৯৭২ সালে সরিষার তেল প্রস্তুতকারক কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করে, বর্তমানে সিটি গ্রপের অধীনে প্রায় ৪০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে ৩০ হাজার কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে, তাদের বার্ষিক টার্নওভার প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। উইকিপিডিয়া এবং ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবরের সন্ধ্যায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের কাছে দেয়া তার একান্ত সাক্ষাৎকারে দেয়া বক্তব্য (প্রথম আলোয় পুনঃপ্রকাশ ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩) থেকে যা জানতে পারি—ফজলুর রহমানের মোট ১১ ভাই-বোন ছিলেন, যার মধ্যে ফজলুর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়। বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় ১৯৫৮ সালে ১১ বছর বয়সে মাত্র ৪২ টাকা পুঁজিতে একটি পানের দোকানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন ফজলুর রহমান। তিনি আর তার বড় ভাই মিলে দোকান দেন। তার বড় ভাই কমলাপুরে ফুফাতো ভাইয়ের দোকানে কাজ করতেন। সেখানে খাওয়া-দাওয়ার বেশ অনিয়ম হতো। বাবা তাকে বাড়িতে চলে আসতে বলেন। তারপর দুই ভাই মিলে দোকান করলেন। নিজের আত্মবিশ্বাস, আত্মমর্যাদা বোধকে সম্বল করে তিনি চলেছেন সারা জীবন। মতিউর সাহেবের কাছে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় তিনি উল্লেখ করেন—‘আমি একবার আমার এক চাচার কাছে গেলাম। তিনি তার ব্যবসায় আমাকে যোগ দিতে বললেন। আমি চাচাকে বললাম, তিনি যদি আমাকে পড়াশোনা করতে বলতেন, সব খরচ দেবেন বলতেন, তাহলে আমি তার কথা রাখতে পারতাম। তার ব্যবসায় গিয়ে আমরা বড় হব, সেটা হয় না। কারণ তাহলে আমার চাচাতো ভাইয়েরা আগের নজরে আমাকে দেখবে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘চেষ্টায় ত্রুটি না থাকলে সফল হতে কষ্ট হয় না। আমাদের পাড়ায় সবাই পয়সাওয়ালা ছিল। একসময় যেমন বংশাল ও পোস্তায় পয়সাওয়ালা মানুষের বাস ছিল, তেমনি গেন্ডারিয়ায়ও ধনী মানুষ থাকতেন। আমি যখন বিকালে একটু সময় পেতাম, তখন ধূপখোলা মাঠে গিয়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে সময় কাটাতাম। তখন প্রত্যেকের বাড়িতে জায়গিরদার ছিল। তাদের সঙ্গে কথা বলতাম। আমি তো পারিনি, যারা পড়াশোনা করতেন, তাদের কাছ থেকে কিছু জানার চেষ্টা করতাম। এক আনার বাদাম কিনলে ১ ঘণ্টা আড্ডা দেয়া যেত।’ কীভাবে তিনি এ সাফল্যের সাক্ষাৎ পেলেন, এ প্রসঙ্গে তার স্মৃতিচারণ—‘আসলে আমার ব্যবসা খুব ছোট আকারে ছিল। ১৯৮৮ সালে আমার ব্যাংকে ঋণ ছিল ৭-৮ কোটি টাকা। আর নিজেদের কিছু পুঁজি ছিল। ওই বছর বন্যায় সরিষার গুদামে পানি চলে এল। আমার ধারণা ছিল, নিচের কিছু বস্তার সরিষা পচে গেলেও বাকিগুলো ভালো থাকবে। কিন্তু দেখা গেল, ওপরের বস্তাগুলোর সরিষাও পচে গেছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর পচা সরিষার গন্ধে টেকা দায়। গুদাম পরিষ্কার করতে অনেক কষ্ট হয়েছে।

বন্যার শুরুর দিকে আমাদের কাছে থাকা হাজার পঞ্চাশেক টাকা স্থানীয় গরিব মানুষকে ভাগ করে দিয়ে দিলাম, যাতে তারা খেয়ে বাঁচতে পারে। বন্যার পর আমাদের গুদাম খালি। আমরা আবার সরিষা কিনলাম। ভাগ্য ভালো ছিল, ওই বছর সরিষার খইলের ব্যাপক চাহিদা দেখা দেয়। করাচিতে পান রফতানি হতো। পানের বরজে খইল দিতে হয়। চালের চেয়ে খইলের দাম বেশি। আমরা খইল বিক্রি করে তেল ড্রামে রেখে দিতাম। পরে আবার সরিষার তেলের ব্যাপক চাহিদা দেখা দিল। সব মিলিয়ে আমাদের দায় শোধ হলো। পুঁজিও উঠে এল। ব্যাংক ঋণ শোধ করে দিলাম।

তখন জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন এম হায়াতুর রহমান। তিনি আমাদের খুব মায়া করতেন। তার কাছে গিয়ে বললাম, বন্যা তো আবার আসতে পারে। তখন কী করব? আপনি আমাদের ঋণ দেন, একটা সয়াবিন তেল পরিশোধন কারখানা করি। ঋণ পেলাম। ১৯৯২ সালে চালু হলো সয়াবিন তেল পরিশোধন কারখানা।’

১৯৭২ সালে ঢাকার গেন্ডারিয়ায় একটি নয় জোড়া ঘানির সরিষার তেলের মিল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সিটি গ্রুপ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করেন ফজলুর রহমান। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘সেই গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা মাঠের পশ্চিম পাশে নন-বাঙালিদের একটি মিল ছিল। খুব শানশওকত নিয়ে ওরা ব্যবসা করত। সে সময় চিন্তা করলাম, তারা যদি পাকিস্তান থেকে এসে এখানে ব্যবসা করতে পারে, ভালো অবস্থায় থাকতে পারে—আমরা কেন পারব না?’ শুধু ব্যবসা নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়েও সচেতন ছিলেন শিল্পপতি ফজলুর রহমান। পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসেবায় গেন্ডারিয়ায় করেছেন আধুনিক সুবিধাসংবলিত আসগর আলী হাসপাতাল। আছে মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউটও।

১৯৮৫ সালে সিটি গ্রুপ একটি রি-রোলিং মিল চালু করে। ১৯৮৮ সালে বন্যার কারণে এ প্রতিষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়। ১৯৮৮ সালের বন্যায় হোঁচট খেলেও থেমে যায়নি পথচলা। ফজলুর রহমান মোটরসাইকেলে চেপে ছুটে বেড়িয়েছেন, বাড়িয়েছেন ব্যবসার পরিসর। এ ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠে ১৯৯২ সালে সিটি গ্রুপ চালু করে সয়াবিন তেল পরিশোধন কারখানা। ২০১৯ সালের এপ্রিলে সিটি ইকোনমিক জোন নামের প্রথম অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করে সিটি গ্রুপ। এটি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় ৭৭ দশমিক ৯৬ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হয়। মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় সিটি গ্রুপের আরেকটি অর্থনৈতিক অঞ্চল অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে যা ‘হোসেন্দী’ নামে পরিচিত। অনুমতি মিলেছে হাই-টেক পার্ক স্থাপনের। এর মধ্যে ৭৮ একর জায়গার ওপর সিটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে রয়েছে প্রতিদিন পাঁচ হাজার টন সয়াবিন সিড ক্রাশিং ইউনিট। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসংবলিত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ফ্লাওয়ার মিল এখানেই অবস্থিত। হাতের স্পর্শ ছাড়াই প্রতিদিন এখানে উৎপাদন হচ্ছে পাঁচ হাজার টন আটা, ময়দা ও সুজি। দৈনিক ১ হাজার ৭০০ টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের সর্ববৃহৎ অটো রাইস মিলও সিটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত। ফজলুর রহমান স্বপ্ন দেখতেন বিশ্ববাজারে বাংলাদেশী পণ্য সুনামের সঙ্গে টিকে থাকবে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘এশিয়ায় কম্পিটিশন করলে, ইউরোপে কম্পিটিশন করলে আপনি টিকতে পারবেন। আর এ ধরনের মিল খাড়া করে দেয়ার মতো এখন সুযোগ-সুবিধা হচ্ছে।’ তিনি আশাবাদী ছিলেন বাংলাদেশের তৃতীয় প্রজন্মের উদ্যোক্তারা চোস্ত ব্যবসায়ী হবে। আমরা তো না বুঝে দৌড়েছি। তাদের কোনো ঘাটতি থাকবে না। ব্যবসায়িক আলোচনা ও চুক্তি করতে কারো সাহায্য-সহযোগিতা লাগবে না। আমরা তো সহযোগিতা ছাড়া করতে পারব। ... আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া। দেশটা স্বাধীন হয়েছিল, তাই আমরা মিলের মালিক হতে পেরেছি। স্বাধীনতার আগে একবার আমি ব্যাংকের একটি ‘সলভেন্সি’ সার্টিফিকেট আনতে ফরাশগঞ্জে গিয়েছিলাম। তখন ব্যাংকের ম্যানেজার ছিলেন একজন অবাঙালি। আমি তার কক্ষে ঢুকব কি ঢুকব না—তিনবার চিন্তা করেছিলাম। এখন তো ব্যাংকের চেয়ারম্যানের কাছে যেতে পারি। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে সালাম বিনিময় করতে পারি।’ ... ‘শরীরটাই আসল। আমার ইচ্ছা ছিল, আমরা শিল্প করব। মুদি দোকানে বসে থেকে আমার দু-তিনটা বিষয় মাথায় এসেছিল। তার একটি কারখানা করা। আরেকটি ছিল হাসপাতাল করা, যাতে গেন্ডারিয়ার লোকজন চিকিৎসা নিতে পারে। পুরান ঢাকার অক্ষয় দাস লেনে আমি দেখতাম যানজটের কারণে অ্যাম্বুলেন্সগুলো হাসপাতাল পর্যন্ত যাওয়ার আগে রোগীরা মারা যাচ্ছে। সেই থেকে হাসপাতাল করার ইচ্ছাটি জাগে। বাবার নামে আসগর আলী হাসপাতাল করলাম। এখন মেডিকেল কলেজ করব। সম্প্রতি অনুমোদন পেয়েছি। একটি ওষুধ কারখানা ও নার্সিং ইনস্টিটিউট করার পরিকল্পনা আছে।

অভ্যন্তরীণ বাজারের পাশাপাশি ময়দা ও তেলসহ নানা পণ্য যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, মালয়েশিয়া, ভারত, কম্বোডিয়া ও নেপালে। কম খরচে মানসম্পন্ন ভোগ্যপণ্য মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন ফজলুর রহমান। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি যেটা খাব, ভোক্তাও সেটা খাবে। দুই পয়সা কমে কীভাবে দেয়া যায়, কীভাবে ভালো জিনিস দেয়া যায়, কীভাবে ভালো প্রডাক্ট করা যায় সেই চিন্তা করতাম, আজও করি।’ 

মূলত উৎপাদন, শিল্পোদ্যোগ এবং ট্রেডিংয়ে বিনিয়োগ তাদের। ভোক্তার চাহিদা অনুযায়ী পণ্য, খাবার, ইস্পাত, মুদ্রণ ও প্যাকেজিং, শিপিং, শক্তি ও জ্বালানি খাত, শেয়ার ও সিকিউরিটিজ, বীমা, মিডিয়া (‘সময়’ এবং ‘এখন’ টিভি), স্বাস্থ্যসেবা (আসগর আলী হাসপাতাল)। লক্ষণীয় তিনি দেশের তেমন কোনো পুরস্কার বা স্বীকৃতি পাননি বরং সিটি গ্রুপকে ব্র্যান্ডিং জগতের অস্কার হিসেবে খ্যাত যুক্তরাজ্যভিত্তিক সুপার ব্র্যান্ডস অ্যাওয়ার্ড ২০০৯-এ ভূষিত করা হয়। সিটি গ্রুপ কানাডার সর্বাধিক জনপ্রিয় বাংলাদেশী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কানাডা ব্যবসা পুরস্কার ২০১২ অর্জন করে। সিটি গ্রুপ ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে কানাডার কৃষিপণ্য যেমন গম, ক্যানোলা, হলুদ ও মটর আমদানি করে আসছে।

মহৎ ও সজ্জন শিল্প ব্যক্তিত্ব ফজলুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। 

ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ: সরকারের সাবেক সচিব ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন