টানা দুই দিন সংশোধনের পর সূচকের বড় উত্থানের মধ্য দিয়ে গতকাল লেনদেন শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে।
এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১ দশমিক ২০ শতাংশ।
পাশাপাশি আগের দিনের তুলনায় এক্সচেঞ্জটিতে দৈনিক লেনদেন বেড়েছে প্রায় ২২ শতাংশ।
বস্ত্র, ব্যাংক এবং জ্বালানী ও বিদ্যুৎ খাতের শেয়ার বেশি লেনদেন হয়েছে।
গতকাল পুঁজিবাজারে খাদ্য, সাধারণ বীমা ও সিরামিকস ছাড়া বাকী সব খাতের শেয়ারেই ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে।
দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শুরুর পর থেকে সূচক উর্ধ্বমূখী ছিল।
এর কিছু সময় পর সূচকের সামান্য নিম্নমূখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
তবে দিনশেষে উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়।
গতকাল ডিএসইএক্স ৮১ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৮৪২ দশমিক ২৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, যা এর আগের কার্যদিবসে ছিল ৬ হাজার ৭৬০ দশমিক ৬১ পয়েন্টে।
গতকাল সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ বাংলাদশে লিমিটেড, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বেক্সিমকো লিমিটেড, গ্রামীণ ফোন, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, সোস্যাল ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড এবং পাওয়ার গ্রীডের।
এদিকে ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে ১৮ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৭৯ দশমিক ৭২ পয়েন্টে অবস্থান করছে, যা আগের দিন ছিল ১ হাজার ৪৬১ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে।
ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ দিনের ব্যবধানে ২৮ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে গতকাল ২ হাজার ৪৫১ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের দিন শেষে যা ছিল ২ হাজার ৪২৩ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে।
গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭০৬ কোটি ৩১ লাখ ৮১ হাজার টাকা।
যা এর আগের কার্যদিবসে ছিল ২ হাজার ২১৮ কোটি ৮৮ লাখ ৯৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ২৪৭টির, কমেছে ৯৬টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৩টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।
খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে বস্ত্র খাত।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ দখলে নিয়েছে ব্যাংক খাত।
৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত।
৯ দশমিক ৪১ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাতের।
আর ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে পঞ্ঝম অবস্থানে রয়েছে আর্থিক খাত।
গতকাল ডিএসইতে লেনদেনের ভিত্তিতে শীর্ষ সিকিউরিটিজ ছিল বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড, আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, মালেক স্পিনিং লিমিটেড, পাওয়ার গ্রীড, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স এবং ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড।
দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গতকাল সিএসসিএক্স সূচক দিনের ব্যবধানে ১২১ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ৯৪২ দশমিক ৩০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আগের কার্যদিবসে সূচকটির অবস্থান ছিল ১১ হাজার ৮২০ দশমিক ৫২ পয়েন্টে।
এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩২৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২১৮টির, কমেছে ৮৩ টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২৩টির বাজারদর।
গতকাল সিএসইতে মোট ১০০ কোটি ৮ লাখ ৫১ হাজার ৩৬০ টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৮৮ কোটি ৯৯ লাখ ২৩ হাজার ৮৮২ টাকার।
