সিনহা হত্যা মামলা: রিমান্ড শেষে ৭ আসামি কারাগারে

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, কক্সবাজার

টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় চার পুলিশ সদস্যসহ সাতজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) সাত দিনের রিমান্ড শেষে এই সাত আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হলে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-৪-এর বিচারক তামান্না ফারাহ আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সাবাজার কোর্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার দাশ।

কোর্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বেলা বেলা ১২টার দিকে সাত আসামিকে আদালতে তোলা হয়। র‌্যাবের পক্ষ থেকে নতুন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়নি। বিষয়টি আদালতকে অবহিত করার পর আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালতে সোপর্দ করা চার পুলিশ সদস্য হলেন– কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল-মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া। অন্য তিন জন এ ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী। তারা হলেন টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াজ।

গত ১২ আগস্ট আদালত চার পুলিশ সদস্যসহ এই সাত আসামিকে সাত দিন করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানিয়েছেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা, তার সহকর্মী শিপ্রা দেবনাথ ও সিফাতের ব্যবহৃত ল্যাপটপ,  হার্ডডিস্ক, পেনড্রাইভসহ ২৯টি উপকরণ আজ র‌্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তার হেফাজতে নেওয়ার কথা রয়েছে।          

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশাবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে তাদের অপর সহকর্মী শিপ্রাকে আটক করা হয়। দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত। 

ওই ঘটনায় টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা এবং পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী রিমান্ড আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব হেফাজতে রয়েছে। এ মামলায় সর্বশেষ বাংলাদেশ আর্মড পুলিশের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে আটকের পর আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তদন্ত সংস্থা র‌্যাব। কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ প্রত্যেক আসামির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন