দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় জিকে বিল্ডার্সের স্বত্বাধিকারী গোলাম কিবরিয়া শামীম (জিকে শামীম) ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আল মামুন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
দুদক ২২ অক্টোবর এ দুজনের ১০ দিন করে
রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিল। ওইদিন বিচারক ২৭ অক্টোবর আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানির
দিন ঠিক করেন। শুনানি শেষে গতকাল দুজনের প্রত্যেককে সাতদিন করে রিমান্ডে নেয়ার
আদেশ দেন আদালত।
গতকাল শুনানিতে আসামি খালেদের পক্ষে
অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহ আলম ও জিকে শামীমের পক্ষে অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মোল্লা
রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করেন। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে স্পেশাল পাবলিক
প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল রিমান্ডের পক্ষে ও জামিনের বিরোধিতা করে শুনানি
করেন।
এর আগে ২১ অক্টোবর জিকে শামীম ও তার
মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে
দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
অন্যদিকে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার
বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে উপপরিচালক
জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলাগুলোয় আদালত যথাক্রমে আগামী ১৯ ও
১৮ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেছেন।
জিকে শামীমের মামলায় বলা হয়, ২০১৮-১৯
করবর্ষ পর্যন্ত সময়ে শামীম ৫০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। এর মধ্যে
আয়কর নথিতে ৪০ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৪ টাকার তথ্য উল্লেখ করলেও ওই টাকার বৈধ উৎস
পায়নি দুদক। এছাড়া তার বাসা থেকে উদ্ধারকৃত নগদ ১ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ও ৭
লাখ ৪৭ হাজার টাকার বিদেশী মুদ্রা,
শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের নামে ১৬৫ কোটি ২৭
লাখ ৬৫ হাজার টাকার এফডিআর,
মায়ের নামে আরো ৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার
ব্যবসার অংশীদার এবং জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানির শেয়ার, গাড়ি
ও এফডিআর বাবদ ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎসও পায়নি
দুদক।
অন্যদিকে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার মামলায়
বলা হয়, এ আসামির ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৯০ লাখ ১৬ হাজার ৭০৯
টাকার অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। এছাড়া গত ১৮ সেপ্টেম্বর র্যাবের
অভিযানে তার গুলশানের বাসা থেকে ১৭ লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ টাকার বিভিন্ন দেশের মুদ্রা
উদ্ধার করা হয়, যার কোনো উৎস দেখাতে পারেননি খালেদ।