শেষ পাতা

বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা হিসেবে পাওয়া লাইসেন্সের নাম পরিবর্তনের অনুমতি পেয়েছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো)। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিতরণ ক্ষমতাও বৃদ্ধির অনুমোদন দেয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এ অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পরিচালিত হতো নর্থ ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড নামে। এছাড়া বিইআরসি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) বিতরণ ও উৎপাদন লাইসেন্সেরও ক্ষমতা বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছে।
বিইআরসি সূত্রে জানা গেছে, গত নভেম্বর নাম পরিবর্তন ও বিতরণ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কমিশনের কাছে আবেদন করে নেসকো। আবেদনের সঙ্গে নাম পরিবর্তনসংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ জমা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। চলতি বছরের অক্টোবরে নওজোপাডিকো থেকে পরিবর্তন করে কোম্পানির নাম নেসকো করা হয়। এছাড়া বিদ্যমান লাইসেন্সের আওতায় বিতরণ ক্ষমতা ৩৫৫ মেগাওয়াট থেকে বাড়িয়ে ৯০০ মেগাওয়াট করার জন্য আবেদন করে প্রতিষ্ঠানটি।
নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকিউল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, এরই মধ্যে নওজোপাডিকোর নাম পরিবর্তন করে নেসকো রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় অনুমোদনও দিয়েছে। কমিশনের কাছে লাইসেন্সের নাম পরিবর্তনের জন্য আবেদন করা হয়। পাশাপাশি বিতরণ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্যও আবেদন করে নেসকো।
জানা গেছে, ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে নওজোপাডিকোর নামে বিদ্যুৎ বিতরণের লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। এ লাইসেন্সের মেয়াদ রয়েছে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন লাইসেন্স (সংশোধন) প্রবিধানমালা, ২০১৬ অনুযায়ী বিদ্যুৎ বিতরণ লাইসেন্সের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি বা নাম সংশোধনের জন্য লাইসেন্স ফি প্রদানের প্রয়োজন নেই।
এদিকে বিপিডিবির বিতরণ ও উৎপাদন লাইসেন্সের ক্ষমতাও বাড়ানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে বিইআরসি।
২০০৮ সালের নভেম্বরে ১ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ বিতরণ লাইসেন্স পায় বিপিডিবি। এ লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের নভেম্বরে। এরই মধ্যে বিপিডিবির বিতরণ ক্ষমতা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার মেগাওয়াটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে লাইসেন্স নবায়ন ও ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কমিশনের কাছে আবেদন করে প্রতিষ্ঠানটি। দুই বছরের জন্য লাইসেন্স নবায়নে প্রতিষ্ঠানটি ২০ লাখ টাকা ফি দিয়েছে। বিপিডিবির লাইসেন্স দুই বছরের জন্য নবায়নের আবেদনে অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। তবে প্রতিষ্ঠানটিকে মূল্য সংযোজন কর বাবদ আরো ৩ লাখ টাকা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া বিপিডিবির বিদ্যুৎ উৎপাদন লাইসেন্সের মেয়াদও গত নভেম্বরে শেষ হয়েছে। বিপিডিবিকে ২০০৮ সালের নভেম্বরে প্রতিষ্ঠানটিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লাইসেন্স দেয়া হয়। বিপিডিবির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উৎপাদন লাইসেন্স নবায়ন ও ক্ষমতা বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে বিইআরসি।
গত অক্টোবরে এক আবেদনে বিপিডিবি জানায়, তাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ২ হাজার ৭৪৪ মেগাওয়াট থেকে বেড়ে ৩ হাজার ৯৩৯ মেগাওয়াট হয়েছে। এজন্য লাইসেন্স নবায়নের পাশাপাশি সেটিতে উল্লেখ করা উৎপাদনক্ষমতাও বাড়ানো প্রয়োজন। ফি হিসেবে মোট ৯৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা দিয়েছে বিপিডিবি। এর মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর ফি হিসেবে ৫৯ লাখ ৮০ হাজার ও দুই বছরের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন লাইসেন্স নবায়ন ফি ৪০ লাখ টাকা।
পাঠকের মতামত