কিডনির যত্ন

কিডনির নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা

ক্রিয়েটিনিন টেস্ট: কিডনির নানা সমস্যা জানতে বা কিডনির কার্যক্ষমতা বুঝতে ক্রিয়েটিনিন টেস্ট অত্যন্ত পরিচিত একটি রক্ত পরীক্ষা।

ক্রিয়েটিনিন টেস্ট: কিডনির নানা সমস্যা জানতে বা কিডনির কার্যক্ষমতা বুঝতে ক্রিয়েটিনিন টেস্ট অত্যন্ত পরিচিত একটি রক্ত পরীক্ষা। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের ক্ষেত্রে ১১০ মাইক্রোমোল/লিটার পর্যন্ত এবং নারীদের ক্ষেত্রে ১০০ মাইক্রোমোল/লিটার পর্যন্ত ক্রিয়েটিনিনের স্বাভাবিক মাত্রা হিসেবে ধরা হয়।

প্রস্রাবের অ্যালবুমিন পরীক্ষা: রক্তে থাকা দেহের প্রোটিন হচ্ছে অ্যালবুমিন। কিডনির ফিল্টারে সমস্যা হলে অ্যালবুমিন মূত্রে চলে আসে। প্রস্রাবের নমুনা নিয়ে এ পরীক্ষা করা হয়। এর স্বাভাবিক মাত্রা ৩০ এমজি/জি বা তার কম। এর বেশি মাত্রা কিডনির সমস্যা নির্দেশ করে।  

ইজিএফআর: এস্টিমেটেড গ্লোমেরুলার ফিল্টারেশন রেট বা ইজিএফআর হচ্ছে কিডনি বিষয়ে জানার জন্য অন্যতম সেরা পরীক্ষা। ইজিএফআর ৯০ বা তার বেশি হলে তা স্বাভাবিক। কিন্তু এর কম, বিশেষত ৬০-এর কম হলে বুঝতে হবে কিডনিতে সমস্যা হয়েছে। আরো কম হলে রোগীর জরুরি চিকিৎসা শুরু করতে হবে। ৩০ বা ২০-এর নিচে নেমে এলে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হয়। ১৫-এর নিচে নামলে কিডনি বিকল হয়ে যায়।  

ইউরিন রুটিন অ্যান্ড মাইক্রোস্কোপি টেস্ট (আর/এমই): প্রস্রাবে কোনো সংক্রমণ আছে কিনা কিংবা অ্যালবুমিন বা প্রোটিন মূত্রে যাচ্ছে কিনা তা জানার জন্য এটি দেয়া হয়। অনেক সময় ২৪ ঘণ্টায় মূত্রে কী পরিমাণ প্রোটিন যাচ্ছে তা জানার জন্য মাইক্রোঅ্যালবুমিন টেস্ট দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে মূত্র ২৪ ঘণ্টা কোনো জারে জমিয়ে রেখে তা পরীক্ষা করাতে হয়। 

কিডনি আল্ট্রাসাউন্ড (ইউএসজি): কিডিনিতে কোনো পাথর, টিউমার, সিস্ট আছে কিনা কিংবা কিডনির আকার বেড়ে-কমে যাচ্ছে কিনা তা জানতে আল্ট্রাসাউন্ড করার দরকার হতে পারে। 

এসব পরীক্ষা ছাড়াও কিডনির সামগ্রিক অবস্থা বোঝার জন্য সিবিসি, হিমোগ্লোবিন, ইলেকট্রোলাইটস, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি প্রভৃতি পরীক্ষার প্রয়োজন হয়। চিকিৎসক রোগীর সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে পরীক্ষা দিয়ে থাকেন।

আরও