জরায়ুমুখ ক্যান্সারের কিছু প্রাথমিক লক্ষণ হলো পিরিয়ড চলাকালীন অস্বাভাবিক রক্তপাত, প্রস্রাব করার সময় ব্যথা, সহবাসের পর রক্তপাত, মেনোপজের পরে রক্তপাত, সহবাসের সময় অস্বস্তি বা রক্তপাত, যোনিস্রাবের সঙ্গে রক্ত। নারীর শরীরে এসব লক্ষণের কোনো একটি দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। ক্যান্সারের সার্জারিতে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমেই এ-সংক্রান্ত অপারেশনগুলো করানো উচিত। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় এ ধরনের চিকিৎসক নিয়োজিত আছেন, যারা সাধারণত এ ধরনের অপারেশনগুলো করেন। জেনে নিন বাংলাদেশের কোথায় কোথায় এ রোগের চিকিৎসা করা হয়। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এ রোগের চিকিৎসা করা হয়। হাসপাতালটি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত। সম্প্রতি এভারকেয়ার হাসপাতালে ল্যাপারোস্কোপির মাধ্যমে ক্যান্সারের সার্জারি করা হচ্ছে, যা বাইরের দেশে ক্যান্সারের সার্জারির জন্য প্রচলিত ছিল। এছাড়া ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) জরায়ুমুখের ক্যান্সার চিহ্নিতকরণ ও চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। বড় মগবাজারে অবস্থিত আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালেও এ রোগের চিকিৎসা করানো হয়। ধানমন্ডির গ্রিন রোডে অবস্থিত ল্যাব এইড ক্যান্সার হসপিটাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারেও এ রোগের চিকিৎসা করানো হয়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে এ চিকিৎসা করা হয় এবং বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়। রাজধানী ঢাকায় সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের এ টিকা দেয়া হবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জরায়ুমুখের ক্যান্সার ও এর চিকিৎসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের নারীদের ঝুঁকির দিক থেকে স্তন ক্যান্সারের পরেই জরায়ুমুখের ক্যান্সারের অবস্থান।