লিপিড প্রোফাইল বেশি থাকলে বেশকিছু রোগের প্রভাব আরো বেড়ে যায়। তাই রক্তে লিপিডের মাত্রা নিয়ে হতে হবে সতর্ক। তা না হলে এসব রোগ ভোগাবে আরো বেশি। জেনে নিন লিপিড প্রোফাইল অস্বাভাবিক থাকলে কোন কোন রোগের প্রবণতা বেড়ে যায়।
লিপিড শব্দের অর্থ চর্বি। আর রক্তে থাকা অতিরিক্ত চর্বি কখনো কখনো হতে পারে ক্ষতির কারণ। কারো রক্তে অস্বাভাবিক মাত্রায় চর্বি থাকলে সেই রোগকে ডাক্তারি পরিভাষায় ডিসলাইপিডেমিয়া বলে।
রক্তে লিপিডের কিছু নির্ধারিত মাত্রা রয়েছে। রক্তে থাকা চর্বির পরিমাণ সেই নির্ধারিত মাত্রায় থাকলে ভালো। জেনে নিন নির্ধারিত মাত্রাগুলো। টোটাল কোলেস্টেরলের (টিসি) পরিমাণ থাকতে হবে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ২০০ মিলিগ্রামের নিচে। হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এইচডিএল) কোলেস্টেরল থাকতে হবে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৫০ মিলিগ্রামের বেশি। অন্যদিকে লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল) কোলেস্টেরল থাকতে হবে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ১০০ মিলিগ্রামের নিচে। তবে ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগ/স্ট্রোকের রোগীদের জন্য প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৭০ মিলিগ্রামের নিচে থাকা দরকার। এছাড়া ট্রাইগ্লিসারাইড (টিজি) থাকতে হবে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ১৫০ মিলিগ্রামের নিচে।
রক্তে অস্বাভাবিক মাত্রায় চর্বি থাকলে অনেক রকম স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। যেমন অতিরিক্ত চর্বি জমে রক্তনালির ব্যাস কমিয়ে দিতে পারে। ফলে হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে হার্ট অ্যাট্যাক হতে পারে।
ফলে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহও ব্যাহত হতে পারে। আর তাতে হতে পারে স্ট্রোক। এছাড়া রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে উচ্চরক্তচাপ, কিডনি রোগ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। আর তা থেকে হতে পারে আরো অনেক জটিলতা।