নিউমোনিয়ার প্রকোপ থেকে নিজেদের সুরক্ষায় দরকার প্রতিরোধ ও চিকিৎসা সমন্বয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিশুদের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া প্রতিরোধের বড় উপায় শিশুর জন্মের পর ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো। নিউমোনিয়ার আর একটি অন্যতম কারণ পরিবেশ দূষণ। এটি নিয়ন্ত্রণে আনা খুব জরুরি। নিউমোনিয়ার যেকোনো একটি উপসর্গ দেখা দিলেই শিশুকে বাড়িতে না রেখে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বাড়াতে হবে সচেতনতা।
বর্তমানে দেশের প্রায় ৯৭ শতাংশ শিশু নিউমোনিয়ার টিকা পেয়ে যাচ্ছে সময়মতো। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু টিকা দিয়ে নিউমোনিয়া পরিস্থিতির উন্নতি করা সম্ভব না। সেজন্য টিকা কার্যক্রমের পাশাপাশি জোর দিতে হবে ব্যবস্থাপনার দিকেও।
অ্যান্টিবায়োটিকের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহারও পরিস্থিতি আরো খারাপ করতে পারে। সেজন্য এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
আবার অনেক সময় দেখা যায় নিউমোনিয়ার উপসর্গগুলো ঠিকমতো দৃশ্যমান না হওয়ায় অভিভাবকরা পুরোপুরি সতর্ক হওয়ার সুযোগ পান না। ফলে একদম শেষ সময়ে শিশুকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসেন তারা। এতে জটিলতা বাড়ে। তখন আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় না। তাই শ্বাসকষ্টসহ নিউমোনিয়ার যেকোনো লক্ষণ দেখা দিলেই শিশুকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া জরুরি।
দেশে নিউমোনিয়ার সংক্রমণ কোন জীবাণুর মাধ্যমে হচ্ছে, ভাইরাস নাকি ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে হচ্ছে, তার ৫০ শতাংশ কারণ এখনো অজানা। নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করতে হলে এর সংক্রমণের কারণ জানা অত্যন্ত জরুরি। তাছাড়া অপুষ্টিও নিউমোনিয়ায় শিশুমৃত্যুর একটি বড় কারণ। গবেষণায় দেখা গেছে, অপুষ্টিতে থাকা শিশুদের নিউমোনিয়ায় মারা যাওয়ার ঝুঁকি ১৫ গুণ বেশি থাকে। তাই পুষ্টি নিশ্চিত করার দিকে দিতে হবে বাড়তি গুরুত্ব।