ইরিটেবল বাউয়েল সিন্ড্রোমে (আইবিএস), স্থায়ীভাবে নিরাময় অযোগ্য একটি পেটের সমস্যা। বিশ্বের প্রায় দেড়শ কোটি মানুষ এই সমস্যায় আক্রান্ত। নিয়ম মেনে জীবনযাপনই এই রোগের একমাত্র দাওয়াই।
তবে অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্বের বৃহত্তম মাকড়সার বিষ আইবিএসে আক্রান্তদের অন্ত্রের ব্যথা উপশম করতে পারে।
আইবিএস অন্ত্রের এমন এক ব্যধি, যা অভ্যন্তরীণ প্রত্যঙ্গগুলোকেও মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে। যদিও এখন পর্যন্ত আইবিএসের কারণ খুঁজে পাননি বিজ্ঞানীরা।
নতুন এই গবেষণার শীর্ষস্থানীয় গবেষক ও কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর মলিকিউলার বায়োসায়েন্সের অধ্যাপক রিচার্ড লুইস বলেন, অন্ত্রের ব্যথাকে লক্ষ্য করে বর্তমান প্রচলিত চিকিত্সার কিছুটা ত্রুটি রয়েছে। সমস্ত ব্যথাই জটিল, তবে পেটের ব্যথা চিকিত্সা করা বিশেষত চ্যালেঞ্জের। বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ লোক এই রোগে ভুগছেন।
অধ্যাপক লুইস বলেন, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে ডোজ সীমাবদ্ধ করার আগে প্রচলিত ওষুধগুলো অনেক রোগীকে ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। অন্যদিকে মাকড়সার বিষে থাকা পেপটাইড হিসেবে পরিচিত শত শত মিনি প্রোটিন পেটের ব্যথার উপশম করতে সক্ষম। তবে এগুলো বিশেষ করে আইবিএসের কারণে সৃষ্ট অন্ত্রের দীর্ঘস্থায়ী ব্যথাকে সারিয়ে তুলতে সক্ষম হয়নি। আমাদের লক্ষ্য ছিল আরো কার্যকর ব্যথা উপশমকারীর সন্ধান করা, যা অন্ত্রের দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার জন্য ভালো কাজ দেবে।
গবেষকরা ২৮টি প্রজাতির মাকড়সার বিষ পরীক্ষা করেছেন। এর মধ্যে নিশাচর মাকড়সা যেটিকে বলে ভেনিজুয়েলার পিঙ্কফুট গোলিয়াথ টারান্টুলা, সেটির বিষ থেকে দুটি পেপটাইড শনাক্ত করেছেন গবেষকরা। এই প্রজাতির মাকড়সার পায়ের দৈর্ঘ্য ৩০ সেন্টিমিটার। আইবিএসের একটি ধরনের দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা প্রায় উপশমের ক্ষেত্রে এই পেপটাইড দুটিকেই সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল হিসেবে শনাক্ত করেছেন গবেষকরা।
সূত্র: সিনহুয়া