ঘরোয়া উপায়...

নাকের পলিপসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য ভেষজ প্রতিকার বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

নাকের পলিপসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য ভেষজ প্রতিকার বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিছু কিছু ভেষজের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও ইমিউন-বুস্টিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা নাকের পলিপের জটিলতা কমাতে সাহায্য করে। শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম বাড়ায় এমন ধরনের খাবার খাদ্যতালিকায় রাখা জরুরি।

হলুদ: হলুদে অ্যান্টিবায়োটিক ক্ষমতা রয়েছে, হলুদ অনুনাসিক প্যাসেজে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি খাবারে বা পরিপূরক হিসেবে গ্রহণ করা যায়। অথবা হলুদ চা তৈরি করে খাওয়া যায়। এক কাপ গরম পানিতে এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া এবং স্বাদের জন্য মধু ও লেবু যুক্ত করে এ চা তৈরি করা হয়।

আদা: আরেকটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ভেষজ, আদা চা হিসেবে খাওয়া যেতে পারে বা খাবারে যোগ করেও খাওয়া যেতে পারে। আদা চা তৈরি করে খাওয়া যায়। তাজা আদা টুকরো টুকরো করে গরম পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর স্বাদের জন্য মধু বা লেবু যোগ করতে হবে।

ফল ও সবজি: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: মাছ, তিসিবীজ ও আখরোটে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা নাকের পলিপাসের জটিলতা কমিয়ে আনে।

মসলা: হলুদ, আদা ও রসুন শরীরের ইমিউনিটি বাড়ায়।

যেসব এড়িয়ে চলা জরুরি

দুগ্ধজাত পণ্য: এ ধরনের খাবার ঠান্ডার সমস্যা বাড়ায়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার: খাবারে অতিরিক্ত চিনি ও অস্বাস্থ্যকর চর্বি এ-সংক্রান্ত জটিলতা বাড়ায়।

অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন: এ জাতীয় খাবার নাকের পলিপাসের জটিলতাগুলোকে বাড়িয়ে তোলে এবং এ রোগের লক্ষণগুলোকে তীব্রতর করে।

দৈনন্দিন জীবনধারায় পরিবর্তন আনা জরুরি। সুস্থ খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, যা একজন মানুষের সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে পরিবর্তন করে। নিয়মিত শারীরিক চর্চা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। সপ্তাহের বেশির ভাগ দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা জরুরি। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। শরীর যেন হাইড্রেড থাকে। এছাড়া যে ঘরে থাকা হয় সেটি যেন পরিষ্কার ও আর্দ্র থাকে।

আরও