নাকের পলিপ নিম্নলিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা সম্ভব:
এন্ডোস্কোপি: এ পরীক্ষায় ডাক্তার একটি সরু নলে হালকা ম্যাগনিফাইং লেন্স অথবা মাইক্রো ক্যামেরার মাধ্যমে নাক ও সাইনাস পরীক্ষা করবেন।
অ্যালার্জি টেস্ট: অ্যালার্জি থাকলে সাধারণত এ রোগের ভয়াবহতা বাড়ে।
ভিটামিন ডি পরীক্ষা: ভিটামিন ডির মাত্রা পরীক্ষা। রক্তের নমুনার পরীক্ষা করা হয়, যাতে দেহে ভিটামিন ডির মাত্রা নির্ধারণ করা যায়।
সিস্টিক ফাইব্রোসিস পরীক্ষা: যে গ্রন্থিগুলো শ্লেষ্মা, ঘাম, অশ্রু ও পাচক রস উৎপন্ন করে, সেগুলো সিস্টিক ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত হলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সিটি স্ক্যানের মতো ইমেজিং স্টাডি: এর মাধ্যমে ডাক্তার রোগীর সাইনাসের অনেক গভীরে পলিপের যথার্থ অবস্থান ও আকার বুঝতে পারেন। এটি ফেলা অথবা অস্বস্তির তীব্রতাকে বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করে। ইমেজিং স্টাডির মাধ্যমে ডাক্তার নাকের অন্য কোনো প্রকোষ্ঠে ব্লকেজ আছে কিনা তা শনাক্ত করতে পারেন, যেমন গঠনগত অস্বাভাবিকতা আছে নাকি এবং কোনো ক্যান্সার যুক্ত অথবা ক্যান্সার যুক্ত নেই এ রকম কোনো অংশ বেড়ে উঠেছে কিনা।
ঝুঁকি বাড়ায় যেসব রোগ
যে যে রোগের কারণে সাইনাস ফুলে যায় অথবা অস্বস্তি বাড়ে, একই কারণে নাকের পলিপের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
নাকের পলিপের সঙ্গে যুক্ত রোগ
অ্যাসপিরিনের প্রতি সংবেদনশীলতা, অ্যাজমা, সিস্টিক ফাইব্রোসিস (এটি একটি বংশগত রোগ যা পাচনতন্ত্র, ফুসফুস ও দেহের অন্য অঙ্গগুলোকে গুরুতর ক্ষতি করে), ভিটামিন ডির ঘাটতি, অ্যালার্জিক ফাঙ্গাল সাইনোসাইটিস, বায়ুবাহিত ছত্রাক সংক্রান্ত অ্যালার্জি, অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া।