উত্তর আমেরিকার স্থানীয় বাজারে নতুন মাইলফলক গড়ল মার্ভেল স্টুডিওস ও ডিজনির আর-রেটেড সিনেমা ‘ডেডপুল অ্যান্ড উলভারিন’। গত সপ্তাহান্তে সিনেমাটি সর্বকালের ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় ‘বারবি’কে হারিয়ে ১২তম স্থান দখল করে নেয়। আয়ের এ অংকে মূল্যস্ফীতি সমন্বয় করা হয়নি। খবর দ্য হলিউড রিপোর্টার।
গত ২০ অক্টোবর উত্তর আমেরিকায় ‘ডেডপুল অ্যান্ড উলভারিন’ আয় করে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ডলার। এ নিয়ে ওই বাজারে রায়ান রেনল্ডস ও হিউ জ্যাকম্যান অভিনীত সুপারহিরো সিনেমাটির আয় দাঁড়িয়েছে ৬৩ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। অন্যদিকে গ্রেটা গারউইক পরিচালিত ও মার্গট রবি অভিনীত ওয়ার্নার ব্রসের মেটা-কমেডি ‘বারবি’র আয় করেছিল ৬৩ কোটি ৬২ লাখ ডলার।
অবশ্য বৈশ্বিক আয়ে এখনো অনেকটাই এগিয়ে আছে ‘বারবি’। পিজি-রেটেড বা পারিবারবান্ধব এ ছবির আয় ১৪৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার। যা সর্বকালের শীর্ষ আয়ের ১৫তম সিনেমার অবস্থান দিয়েছে ‘বারবি’কে। অন্যদিকে বৈশ্বিক ‘সেনসেশন’ বিবেচিত হলেও পারিবারিক সিনেমা না হওয়ায় অর্থের অংকে পিছিয়ে থাকতে হয়েছে ‘ডেডপুল অ্যান্ড উলভারিন’কে। এ সিনেমার বৈশ্বিক আয় ১৩৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার। তবে শীর্ষ ২০ সিনেমার ঘরে উঠে এসে গত সপ্তাহান্তে তালিকা থেকে ‘স্টার ওয়ার্স: অ্যাপিসোড ফাইভ’কে সরিয়ে দেয় রায়ান রেনল্ডস পরিচালিত সিনেমাটি।
মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সে ডেডপুল সিরিজের অবদান দিন দিন বাড়ছে। এ সিরিজের ৩১টি কিস্তির মধ্যে ‘ডেডপুল অ্যান্ড উলভারিন’-এর অবস্থান সপ্তম শীর্ষ আয়কারী। সিনেমাটি মুক্তির প্রথম সপ্তাহান্তে আয় করে ২১ কোটি ১০ লাখ ডলার, যা ছিল আর-রেটেড সিনেমা হিসেবে সবচেয়ে বড় ওপেনিং।
এখনো পর্যন্ত পিক্সার ও ডিজনি প্রযোজিত ‘ইনসাইড আউট টু’র পর ২০২৪ সালের দ্বিতীয় শীর্ষ আয়ের ছবি ‘ডেডপুল অ্যান্ড উলভারিন’। ‘ইনসাইড আউট টু’র ঘরোয়া ও বৈশ্বিক আয় যথাক্রমে ৬৫ কোটি ২৯ লাখ ও ১৬৯ কোটি ৪০ কোটি ডলার।