‘মহানগর তিন’ কবে আসছে, সেটা জানার জন্য সিরিজটির নির্মাতা আশফাক নিপুনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বণিক বার্তাকে হেসে উত্তর দিলেন, ‘সেটা তো বলব না।’ তবে মহানগর তিন নিয়ে দর্শকের ব্যাপক আগ্রহ আছে বলে তিনি জানান। নির্মাতা বলেন, ‘আমি যেখানেই যাই, সেখানেই ‘‘মহানগর এক’’ ও ‘‘মহানগর দুই’’ সিরিজ নিয়েই দর্শক জিজ্ঞেস করতে থাকে এবং তাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে কখন মহানগর তিন আসবে।’
মহানগর এক ফ্রি করার কারণ জানতে চাইলে আশফাক নিপুন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘হইচইয়ে মহানগরের প্রথম সিজনটি সাবস্ক্রিপশন ছাড়া দেখার কারণ হচ্ছে দর্শকের ভালোবাসা। এটি নির্মাণ করার সময় দেশের অবস্থা এখনকার মতো এতটা অনুকূলে ছিল না। তখন আমাদের এক ধরনের বাঁধাধরা নিয়মের মধ্যে চলতে হতো, সব কথা বা সব গল্প বলা যেত না। সে সময় সবচেয়ে ক্ষমতাধর ছিল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের দুর্নীতি নিয়ে সিরিজটি নির্মাণ করেছিলাম এবং হইচই কর্তৃপক্ষ সেটা প্রচার করেছিল। মহানগর এক ও পরবর্তী সময়ে মহানগর দুই নির্মাণের পর আমাকে বিভিন্ন রকমের ঝামেলার মুখোমুখি হতে হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরশাসকের পতনের পর হইচই কর্তৃপক্ষ দেখল, মহানগরের প্রতি দর্শকের অভূতপূর্ব ভালোবাসা, তাদের ব্যাপক সাড়া এ দুই সিরিজের প্রতিই। সেটারই একটা ছোট প্রতিদান হিসেবে প্রথম সিজনটি ফ্রি করে দেয়া হয়েছে। কারণ এ সিরিজের প্রতি দর্শকের ভালোবাসা না থাকলে এমন গল্প বলা যেত না, পাশাপাশি তখন আমরা নানা ঝুঁকির মধ্যে পড়তাম। স্বৈরশাসকের পতনের পর আমরা সবাই মুক্ত, এখন স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারি। অতএব এ মুহূর্তে আমার ও হইচইয়ের পক্ষ থেকে মহানগর প্রথম সিজন ফ্রি করে দেয়া দর্শকের জন্য একটা উপহার। এখন চাইলে দর্শক এটি ফ্রিতে দেখতে পারবে।’
মহানগরের এখনো কী ফিডব্যাক পাচ্ছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আশফাক নিপুন বলেন, ‘মহানগরের ফিডব্যাক সবসময় ভালো পাই। যতই সময় যাচ্ছে এর প্রথম ও দ্বিতীয় সিরিজের অনেক দৃশ্য বর্তমানের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হয়ে যাছে। যেমন মহানগরের একটা দৃশ্যে ক্যামেরা মোশাররফ করিমের দিকে আসতে থাকে, তিনি হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে থাকেন, তারপর চেহারা ঘোরান।
দৃশ্যটা গত কয়েক বছরে আলোচিত মিম কনটেন্ট হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি মহানগরের আরো একটা দৃশ্য নাসিরুদ্দীন খান ও খায়রুল বাসার ছিলেন, খায়রুল বাসার ফোন ধরা মাত্রই রুপালির জামাই গালাগালি শুরু করে, এটাও মিম কনটেন্ট হিসেবে সব জায়গায় ব্যবহার হচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট জয়েও মহানগরের কনটেন্ট ব্যবহার হচ্ছে। অতএব মহানগরের প্রাসঙ্গিকতা যত সময় যাচ্ছে ততই বাড়ছে।’