৩১ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছে দুলকার সালমান অভিনীত ‘লাকি ভাস্কর’ সিনেমার ট্রেলার। সেখানে কেউ একজন তাকে তেলেগু অভিনেতা বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু বাস্তবে দুলকার মালয়ালমভাষী। তিনি মূলত মালয়ালম সিনেমা ও মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতা। তার সিনেমা তেলেগুতে ডাবিং হয়। কখনো তিনি তেলেগু সিনেমায় হয়তো অভিনয়ও করেছেন। এছাড়া হিন্দি সিনেমায়ও কাজ করেছেন। প্রশ্ন হলো, একজন অভিনেতাকে আদৌ ভাষার মাপকাঠিতে মাপা উচিত কিনা। এর বাইরে প্যান-ইন্ডিয়া বলে আদৌ কোনো প্রচারের প্রয়োজন আছে, নাকি অভিনয়টাই মূল?
দুলকার অবশ্য মনে করেন, তিনি চাইলেও দর্শকের এসব কথা বন্ধ করতে পারবেন না। সিনেমার প্রচারণামূলক একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এটা এক ধরনের সমস্যা, তাই না? কখনো মালয়ালম সিনেমায় অভিনয় করছি, কখনো হিন্দি। এখন কাউকে তো নির্দিষ্ট করে বলে দেয়া সম্ভব নয় আমি কোন ভাষার অভিনেতা। তবে এটা ঠিক, আমি মালয়ালমে যা পাই, তেলেগুতে তা পাই না। তেলেগুতে যা পাই তা হিন্দিতে পাই না। অনেকে অনেক কথা বলতে পারেন। কিন্তু আমার কাজ হলো এসব ধরে বসে না থেকে সামনে এগিয়ে যাওয়া।’
দুলকার আরো জানান, সম্ভব হলে তিনি একই সঙ্গে অনেক সিনেমায়, বিভিন্ন ভাষায় অভিনয় করতেন। কিন্তু তা বাস্তবে সম্ভব নয়। এছাড়া বয়সের একটা বিষয় আছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। কেননা এখন চাইলেও তিনি ‘কামিং অব এজ’ ঘরানার গল্পে অভিনয় করতে পারবেন না। তিনি বলেন, ‘বয়স হয়ে গেছে। এখন এ ধারার সিনেমায় অভিনয় করা সম্ভব নয়। বৈচিত্র্য রাখার জন্য তো অনেক ধরনের গল্পে কাজ করেছি। কখনো এনআরআই (নন রেসিডেন্ট ইন্ডিয়ান), কখনো লাভ স্টোরি, কখনো অ্যাকশন। এখন আবার চলছে পিরিয়ড ড্রামার জনপ্রিয়তা।’
তিনি আরো জানান, অনেক সময় অভিনেতারা দর্শকের চাহিদা অনুসারে কাজ করে। চরিত্র বাছাই করে। দুলকার বলেন, ‘সত্যিকার অপরাধের গল্প নিয়ে নির্মিত সিনেমার এত জনপ্রিয়তা কেন? কারণ মানুষ ওই অপরাধীর চরিত্রটা জানতে চায়। তারা হয়তো কোনো অপরাধ করবে না, কিন্তু একজন অপরাধী কেন ও কীভাবে কাজগুলো করে তা জানার ইচ্ছা দর্শকের থাকে। আর জনপ্রিয় হয় বলেই অভিনেতারা ওই ধরনের গল্পে কাজ করে থাকে।’
তবে ইদানীং জনপ্রিয় হয়ে ওঠা প্যান-ইন্ডিয়ান শব্দটা পছন্দ করেন না দুলকার। তিনি মনে করেন, সিনেমা একটা নির্দিষ্ট জায়গার গল্প বলবে। সেটাকে ওই গল্পের কারণে ছড়িয়ে দেয়া হবে বা সিনেমাটি ছড়িয়ে পড়বে। দুলকার বলেন, ‘আমার আসলে ‘‘প্যান-ইন্ডিয়া’’ শব্দটা পছন্দ নয়। এক রকম ঘৃণাই করি। কানতারার মতো সিনেমার সাফল্য প্রয়োজন। সেটা সিনেমার গুণের কারণেই হয়েছে। প্রতিটা গল্পই কোনো না কোনো শিকড় থেকে আসে। গল্পে শিকড় থাকা প্রয়োজন। সিনেমার গল্প একটা স্থানের কথা বলবে। মানুষের কথা বলবে। তারপর সিনেমাটি ডাবিং বা অন্য মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়বে দর্শকের কাছে। তাকে আলাদা করে একটা নাম দিয়ে প্রচার করার প্রয়োজন নেই।’
সূত্র: দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস