একাধিক বাস্তব চরিত্র থেকে অনুপ্রাণিত টনি স্টার্ক

রবার্ট ডাউনি জুনিয়র ও ইলোন মাস্ক একবার স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন। ২০১০ সালে আয়রন ম্যানের দ্বিতীয় সিনেমাটিতে ক্যামিও করেছিলেন মাস্ক।

রবার্ট ডাউনি জুনিয়র ও ইলোন মাস্ক একবার স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন। ২০১০ সালে আয়রন ম্যানের দ্বিতীয় সিনেমাটিতে ক্যামিও করেছিলেন মাস্ক। সিনেমায় দেখা যায়, মোনাকো ‘গ্র্যাঁ পিঁ’-তে দেখা হয়ে যায় দুজনের। অনেকেরই ধারণা ও বিশ্বাস, মার্ভেলের টনি স্টার্ক চরিত্রটিকে তৈরি করা হয়েছে ইলোন মাস্কের অনুপ্রেরণায়। এ নিয়ে আয়রন ম্যানের গল্পকার মার্ক ফার্গাসও একবার মন্তব্য করেছিলেন। সম্প্রতি চরিত্রের অভিনেতা রবার্ট ডাউনি জুনিয়র জানালেন, কিছুটা অন্তত মিল আছে। তবে এখানেই শেষ নয়, আছে আরো কিছু।

অন উইথ কারা সুইশার পডকাস্টে রবার্ট বলেন, ‘তার সঙ্গে আমার খুব বেশি দেখা হয়নি। অল্প কয়েকবারই দেখেছি। তবে আমার মনে হয় ৬০ বছরের একজন শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান হিসেবে তার আচরণ আরেকটু সহনশীল ও বিবেচনাসম্পন্ন হওয়া উচিত। তার কথা ও আচরণ সংযত হলে ভালো হতো। কিন্তু এতে তো আমার কিছু করার নেই। আমাদেরও বোঝা উচিত, কেন তিনি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

এর আগে এক সময় আয়রন ম্যানের গল্পকার মার্ক ফার্গাস জানিয়েছিলেন, তিনি টনি স্টার্কের চরিত্রে ইলোন মাস্ক থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছেন। তবে কেবল মাস্ক নন, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও স্টিভ জবসের কিছু বৈশিষ্ট্য। তার মতে, স্টিভ জবসের প্রতিভার সঙ্গে টনির চরিত্রে দেয়া হয়েছে ট্রাম্পের শো-ম্যান বৈশিষ্ট্য। ফার্গাস বলেন, ‘তার মধ্যেই একমাত্র মজা করার পাশাপাশি ব্যবসার বৈশিষ্ট্য বা ব্যবসায়িক দিকটা ছিল।’

আমেরিকায় চলছে নির্বাচনের মৌসুম। সে সূত্র ধরেই এসব আলোচনা আসছে। অনেকে যেমন এ বাস্তব চরিত্রদের পছন্দ করেন, তেমন সমালোচনারও অভাব নেই। অভিনেতা মাইকেল কিটন তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি বলেন, ‘তারা মানুষকে সম্মান করেন না। আপনাদের পেছনে তারা হাসেন। মনে করেন মানুষ বোকা।’ ট্রাম্প বা মাস্কের প্রতি মানুষের সমর্থন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা কিন্তু আপনার সঙ্গে কথাও বলবেন না। আমাদের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই। কিন্তু আমরা এমন একটা ভাব করি, যেন তারা আমাদের ভাই-বন্ধু।’

সূত্র ও ছবি: ভ্যারাইটি

আরও