বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা ক্রিকেটার খ্যাত সাকিব আল হাসান দেশে অলোচনায় রাজনৈতিক কারণে। সম্প্রতি মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের বিদায়ী টেস্ট খেলতে দেশে ফিরতে পারেননি তিনি। এ নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। আবারো তিনি আলোচনায়। এবার তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে। ক্যারিয়ারে ৪৪৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৭১২ উইকেট শিকার করা সাকিব ২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলছেন। খেলেছেন বিশ্বব্যাপী অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। ৩৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার এখন ক্যারিয়ারের বিদায়লগ্নে। অথচ এই সময় এসে প্রথমবারের মতো তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠল।
খবরটি কয়েকদিন ধরেই ঘুরছে। সোমবার ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, সাকিবকে তার বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা করাতে বলেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
গত সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে পাকিস্তানের মাটিতে বাংলাদেশ দলের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের পর গোটা দল দেশে ফিরলেও কাউন্টি খেলতে সাকিব চলে যান ইংল্যান্ডে। ৯-১২ সেপ্টেম্বর কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ডিভিশন ওয়ানে সারের হয়ে ১টি ম্যাচ খেলেন তিনি। ২০১১-১২ মৌসুমের পর সেই প্রথম কাউন্টিতে খেলেন কৃতী অলরাউন্ডার। টন্টনে সমারসেটের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ৯ উইকেট নেন বামহাতি এই অর্থোডক্স স্পিনার। ওই ম্যাচেই তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সাসেক্সের হয়ে ম্যাচে সাকিব ৬৩ ওভার বোলিং করেন। বিস্ময়কর হলো— ম্যাচের সময় অবৈধ অ্যাকশনের জন্য কোনো ‘নো বল’ ডাকেননি আম্পায়াররা। যদিও প্রায় দুই মাস পর জানা গেছে, ওই সময়ে সাকিবের বোলিং অ্যাকশনে সন্দেহ প্রকাশ করেন সেই ম্যাচের দুই আম্পায়ার।
তাহলে কি সাকিব শাস্তি পাবেন? জানা গেছে, আপাতত সাকিবকে খেলা থেকে নিষিদ্ধ বা কোনো ধরনের শাস্তি দেয়া হয়নি। ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেয়ার ব্যাপারে সাকিবের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেবেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।