টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছর ২০ ওভারের ম্যাচই বেশি খেলেছে বাংলাদেশ। এছাড়া টেস্টও খেলেছে বেশ কিছু। টাইগাররা ২০২৪ সালে ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে মাত্র তিনটি। মার্চে শ্রীলংকার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে হোম সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। প্রায় আট মাস পর ফের ওয়ানডে খেলতে নামছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
এ বছর ১৩, ১৫ ও ১৮ মার্চ চট্টগ্রামে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে শ্রীলংকাকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার সিলেটে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হেরেছিল বাংলাদেশ। যাই হোক, আট প্রায় মাস পর ওয়ানডে খেলতে নামছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। বুধবার বাংলাদেশ সময় বেলা ৪টায় প্রথম ওয়ানডে। একই ভেন্যুতে ৯ নভেম্বর দ্বিতীয় ও ১১ নভেম্বর তৃতীয় ম্যাচ।
শারজা থেকেই সরাসরি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দুটি টেস্ট, এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা।
বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান এখন পর্যন্ত ১৬টি ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ১০টি ও আফগানিস্তান ৬টি ম্যাচ জিতেছে।
দুই দল এখন পর্যন্ত তিনটি ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হয়েছে, যার দুটি বাংলাদেশ ও একটি আফগানিস্তান জিতেছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ সফরে এসে বাংলাদেশকে হারিয়ে দেন রশিদ খান, মোহাম্মদ নবীরা। এরপর অবশ্য এশিয়া কাপ ও ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে পরপর দুই ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ। টানা চতুর্থ জয়ের আশায় বুধবার শাহজায় নামছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
এই সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগে দলের তারকা ব্যাটার তাওহীদ হৃদয় বলেছেন, ‘আমরা বরাবরই এ ফরম্যাটে ভালো খেলে থাকি। আমরা ভালোভাবে শুরু করতে চাই। আমাদের দলের যে সামর্থ্য, সে অনুযায়ী খেলতে পারি ভালো কিছু হবে ইনশাআল্লাহ। তবে আমরা দিনটা কীভাবে শুরু করব, ওটাই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমি আগে শারজায় খেলিনি। তবে আমাদের দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটারই ওখানে খেলেছে। তাদের জন্য কাজটা কঠিন হবে না।’