ভিএআর নিয়ে প্রিমিয়ার লিগের রেফারির সমালোচনা

কাতার বিশ্বকাপে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বা ভিএআর বিতর্ক যেন কমছেই না। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন সাবেক রেফারি মার্ক হ্যালসি। প্রায় ১৪ বছর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে রেফারির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি

কাতার বিশ্বকাপে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বা ভিএআর বিতর্ক যেন কমছেই না। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন সাবেক রেফারি মার্ক হ্যালসি। প্রায় ১৪ বছর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে রেফারির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

একুয়েডর ও কাতারের ম্যাচ থেকেই সমালোচনার শুরু। একুয়েডরের প্রথম গোলটিই অফসাইডের দায়ে বাদ পড়ে। অফসাইড অবস্থানে ছিলেন মাইকেল এস্ত্রাদা।

ইংল্যান্ড ও ইরানের ম্যাচ ঘিরে ওঠে নতুন প্রসঙ্গ। ইংরেজ ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুয়ারের দাবি ছিল ফাউলের। অথচ ভিএআর তা প্রত্যাখ্যান করে। আবার সেই ম্যাচেই কিছুক্ষণ পরেই ফাউল দেয়া হয়েছে জন স্টোনসের ঘটনায়। মার্ক হ্যালসি এর সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন, যখন রেফারি কমিটি একসঙ্গে বসবেন, ফুটেজগুলো দেখে আলোচনা করবেন বলে আমি নিশ্চিত। তখন এই দুটি ঘটনায় এসে থামকে দাঁড়াতে বাধ্য হবে। কেন প্রথমটিকে ফাউল না দিয়েও দ্বিতীয়টিকে ফাউল দেয়া যায়? কেন রেফারির বিষয়টি লক্ষ্য করেননি? রেফারিকে অবশ্যই বুঝতে হবে।

ইংল্যান্ড-ইরানের রেফারি রাফায়েল ক্লজের প্রতি অসন্তুষ্ট মার্ক। তিনি দাবি করছেন, রেফারি ও ভিএআরের মধ্যে কী হচ্ছে সবাইকে জানতে হবে। সিদ্ধান্তগুলো হয়তো ভক্ত ও বিশেষজ্ঞরা সেভাবে আমলে নেবেন না। কিন্তু অন্তত আমাদের এতটুকু স্বচ্ছ থাকা প্রয়োজন যে, তারা আসলে কীভাবে সিদ্ধান্ত নেয়। কেন সিদ্ধান্ত নেয়। তাছাড়া রাগবি-ক্রিকেটেও সকলেই শুনতে পারে আলোচনা। ফুটবলে হলে সমস্যা হবে না।

২০১৮ সালের বিশ্বকাপে প্রথম ব্যবহৃত হয় ভিএআর। তারপর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপার মতো ফুটবলের বড় আসরে ব্যবহৃত হয়েছে। কাতার বিশ্বকাপেও লাল কার্ড, হলুদ কার্ড, ফাউল কিংবা অফসাইডের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে ভিএআর।

আরও