দীর্ঘ নয় বছর পর বাংলাদেশের টেস্ট খেলতে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। মিরপুরে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্তর দল প্রথম সেশনেই পড়েছে বিপর্যয়ে। দুই প্রোটিয়া পেসার উইয়ান মুলডার ও কাগিসো রাবাদার তোপে শুরুর দেড় ঘণ্টার মাঝেই সাজঘরে ফিরেছে টাইগার ব্যাটিং লাইনআপের অর্ধেক। প্রতিবেদনটি লেখার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান।
এই টেস্টে অভিষেক হয়েছে ব্যাটার জাকের আলীর। সাকিব আল হাসানের জায়গায় দলভুক্ত হন তিনি। অন্যদিকে, মিরপুরেই দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ক্যাপ প্রথমবারের মতো মাথায় উঠেছে উইকেটকিপার ব্যাটার ম্যাথিউ ব্রিজকের। একমাত্র পেসার হাসান মাহমুদকে নিয়ে দল সাজিয়েছে বাংলাদেশ।
তবে শুরুটা একদম প্রত্যাশামাফিক হলো না। উইয়ান মুলডারের করা প্রথম ওভারেই শূন্য রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন সাদমান ইসলাম। অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা ফুল লেংথ ডেলিভারিটিকে তাড়া করে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন এই ওপেনার। ৬ রানেই বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসেন মুমিনুল হক।
শুরু থেকে কিছুটা নড়বড়ে মনে হওয়া এই টপ অর্ডার ব্যাটার মুলডারের ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মেরে জড়তা কাটিয়ে ওঠার আভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু টিকতে পারেননি তিনিও। উইকেটের পেছনে কাইল ভেরেইনাকে ক্যাচ দিয়ে মুলডারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ৪ রানে ড্রেসিংরুমে ফেরেন মুমিনুল।
১৩ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশের বিপদ আরো বাড়িয়ে মাত্র ৭ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। মুলডারের তৃতিয় শিকার তিনি।
এরপরের দুটি উইকেট কাগিসো রাবাদার। দলীয় ৪০ রানের মাথায় রাবাদার গোলা গুড়িয়ে দেয় মুশফিকুর রহিমের রক্ষণ। এর মধ্য দিয়ে টেস্টে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন রাবাদা। ১১ রান করা মুশফিকের পর স্লিপে ক্যাচ দিয়ে মাত্র রাবাদার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরেছেন মাত্র ১ রান করা লিটন দাস। আর কেশব মহারাজের লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ হয়ে ১৩ রান আউট হয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
তার আউটেই মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। একপ্রান্ত আগলে রেখে ১৬ রান নিয়ে নটআউট ওপেনার মাহমুদুল হাসান।
শুকনো সারফেসে কিছুটা ঘাস থাকায় বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য উইকেটে টিকে থাকা সহজ ছিল না। কিন্তু পরিচিত পরিবেশ ও উইকেটে যে ধরনের শট খেলেছেন ব্যাটাররা তাতে নাজমুল-মমিনুলদের শট সিলেকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক।