স্মার্টফোনে জরুরি মুহূর্তে যোগাযোগে করণীয়

জরুরি অবস্থা বলে-কয়ে আসে না। পরিস্থিতি যেমনই হোক, প্রতিটি মুহূর্ত তখন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

জরুরি অবস্থা বলে-কয়ে আসে না। পরিস্থিতি যেমনই হোক, প্রতিটি মুহূর্ত তখন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, অসুস্থতা বা হামলার শিকারের সময় কাছের মানুষকে নিজের অবস্থান জানাতে পারলে উদ্ধার কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। আর এ কাজ সহজেই করতে পারে হাতের মুঠোয় থাকা স্মার্টফোন। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ইমার্জেন্সি এসওএস নামে এমন ফিচার রয়েছে, যার মাধ্যমে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে এবং নির্দিষ্ট সেল নম্বরে নিজের অবস্থানসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠানো যাবে।

ইমার্জেন্সি কন্টাক্ট যোগ করার মাধ্যমে নিজের কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে কাছের বা পরিচিত মানুষ দ্রুত সে বিষয়ে জানতে পারবে। ফোন লক থাকলেও ফিচারটি কাজ করবে, যা চালু করতে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের সেটিংস অ্যাপে যেয়ে ‘সেফটি অ্যান্ড ইমার্জেন্সি’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর ‘ইমার্জেন্সি কন্টাক্টস’ থেকে ‘অ্যাড ইমার্জেন্সি কন্টাক্ট’-এ ট্যাপ করে নম্বর যোগ করতে হবে। এবার আগের মেন্যুতে গিয়ে ‘ইমার্জেন্সি এসওএস’ অপশনে যেতে হবে। ‘ইউজ ইমার্জেন্সি এসওএস’ টগলটি চালু করে নিতে হবে। এখন ‘শেয়ার ইনফো উইথ ইমার্জেন্সি কন্টাক্ট’ নির্বাচন করলে পরবর্তী সময়ে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে।

রেকর্ডিং ইমার্জেন্সি ভিডিওতে ট্যাপ করলে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ভিডিও রেকর্ড করা যায়। এ সময় ফোনের সামনের ও পেছনের উভয় ক্যামেরা দিয়েই ভিডিও রেকর্ড হয়, যা গুগল স্বয়ংক্রিয়ভাবে গুগল ড্রাইভে আপলোড করে ব্যবহার উপযোগী করবে।

সেফটি অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপশনে নিজের স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য যোগ করা যাবে ‘মেডিক্যাল ইনফো’ থেকে। রক্তের গ্রুপ, এলার্জি, চলমান ওষুধসহ বেশকিছু স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য যোগ করার সুযোগ থাকছে। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর্মীরা ফোন আনলক না করেই জরুরি অবস্থায় এসব তথ্য জানতে পারবেন।

ইমার্জেন্সি এসওএস ফিচার চালু করা হয়ে গেলে ফোনের পাওয়ার বাটন পাঁচ বা তার বেশিবার চেপে জরুরি অবস্থায় ব্যবহার করা যাবে। এরপর ফোনের সেটিংসভেদে একটি লাল বৃত্তাকার রেখা দেখাবে। যেখানে টাচ করে তিন সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে। আর তা না করলে সময় গণনা শুরু হবে এবং নির্দিষ্ট সময় পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইমার্জেন্সি কন্টাক্টে কল চলে যাবে। এ অবস্থায় অপশন চালু করা থাকলে লোকেশন ও ভিডিও নম্বরটিতে পাঠানো হবে। তবে এর জন্য অবশ্যই ইন্টারনেট সংযোগ চালু থাকতে হবে।

স্ল্যাশগিয়ার অবলম্বনে

আরও