চলতি বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কমিউনিটি গাইডলাইন না মানায় বাংলাদেশের ৬ লাখ ২৮ হাজার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ ইমো। স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ইমোর অব্যাহত প্রতিশ্রুতির জায়গা থেকে এ উদ্যোগ নেয়া হয়। অক্টোবরে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস মাস চলাকালে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা কমিউনিটির মাঝে আস্থা নির্মাণ ও নিরাপদ প্লাটফর্ম হিসেবে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে এ তথ্য প্রকাশ করে ইমো।
জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপটি সপ্তাহের সাতদিন ২৪ ঘণ্টা পাবলিক কনটেন্ট চিহ্নিত করতে এআইয়ের (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) সহায়তা নেয়। পাশাপাশি কমিউনিটিতে সহনশীলতা ও নিরাপত্তা নির্মাণের অংশ হিসেবে ইমো অ্যাপের ক্ষতিকর আচরণগুলো রিপোর্ট করতে ব্যবহারকারীদের উৎসাহ জোগায়।
এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ক্ষতিকর কনটেন্ট পোস্ট করার মাধ্যমে কমিউনিটিতে প্রভাব ফেলতে পারে এ রকম বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ড এড়াতে ব্যবহারকারীর রিপোর্ট করা ৯০ হাজার কেস চিহ্নিত করে প্লাটফর্মটি।
কোনো ধরনের ব্যতিক্রম ছাড়া সব ব্যবহারকারীর জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য একটি পরিবেশ গড়ে তুলতেই ইমোর কমিউনিটি গাইডলাইন তৈরি করা হয়। বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখা নিশ্চিত করতে সব ব্যবহারকারী ও কনটেন্ট নির্বিশেষে সবার ক্ষেত্রে একইভাবে এ গাইডলাইন প্রয়োগ করা হয়। একটি নিরাপদ ও বন্ধুত্বপূর্ণ কমিউনিটি নিশ্চিত করতে প্লাটফর্মটি সবসময়ই আরো বেশি প্রাসঙ্গিক ফিচার নিয়ে আসছে এবং ধারাবাহিকভাবে অ্যাপ্লিকেশন আপগ্রেড করছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় আরো সাবধান ও নিরাপদ থাকার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে তুলতে সাইবারসিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেসের মাস অক্টোবর একদম যথার্থ। ব্যবহারকারীর জন্য নিরাপত্তা ও প্রাইভেসি সুরক্ষা দিতে ইমো সবসময়ই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ব্যবহারকারীদের নিরাপদ রাখতে এরই মধ্যে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন, টু-স্টেপ ভ্যারিফিকেশন, পাসকিজ, সিমকার্ড বাইন্ডিং, ব্লক স্ক্রিনশট ও প্রাইভেসি চ্যাট অ্যান্ড প্রাইভেসি মোডের মতো বেশকিছু নিরাপত্তা ও প্রাইভেসি সুরক্ষা ফিচার নিয়ে এসেছে প্লাটফর্মটি। এ ফিচারগুলো কেবল প্রাইভেসি সম্পর্কে সচেতনতাই বাড়াবে না; একই সঙ্গে সাইবারক্রাইম ও সাইবারবুলিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতেও ভূমিকা রাখবে।–বিজ্ঞপ্তি